জীবনমুখী কবিতা

দুই পাখি

খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতেবনের পাখি ছিল বনে।একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,কী ছিল বিধাতার মনে।বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি

বাকি অংশ »

শিক্ষক শ্রীচরণ

হাতে নিয়ে ডাস্টার আর শাদা চকক্লাশে এসে ঢুকতেন প্রিয় শিক্ষক।জটিল অংক আর তার সমাধানলিখতেন বোঝাতেন প্রতিটি বিধান।কালো ‘ব্ল্যাক বোর্ডের’ কুচকুচে

বাকি অংশ »

ঘুম ভাঙার পর

ঘুম ভাঙার পর যেন আমার মন ভালো হয়ে যায়।হলুদ-তেল মাখা একটি সকাল,ঝর্নার জলে বৃষ্টিপাতের মতন শব্দঝুল বারান্দার সামনের বাগানে কেউ

বাকি অংশ »

পাহাড় চূড়ায়

অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।যদি তার দেখা পেতাম,দামের জন্য আটকাতো না।আমার

বাকি অংশ »

কেউ কথা রাখেনি

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনিছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলশুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু

বাকি অংশ »

দেশলাই কাঠি

আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠিএত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি নাঃতবু জেনোমুখে আমার উসখুস করছে বারুদ-বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;আমি

বাকি অংশ »

পুরানো ধাঁধাঁ

বলতে পারো বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে?গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?বড়মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি,গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি?বলতে

বাকি অংশ »

হে মহাজীবন

হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়এবার কঠিন কঠোর গদ্যে আনো,পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাকগদ্যের করা হাতুড়িকে আজ হানো।প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-কবিতা তোমায়

বাকি অংশ »

আমরা এসেছি

কারা যেন আজ দুহাতে খুলেছে, ভেঙেছে খিল,মিছিলে আমরা নিমগ্ন তাই, দোলে মিছিল।দু:খ-যুগের ধারায় ধারায়যারা আনে প্রাণ, যারা তা হারায়তারাই ভরিয়ে

বাকি অংশ »

জনতার মুখে ফোঁটে বিদ্যুতবানী

কত যুগ, কত বর্ষান্তের শেষেজনতার মুখে ফোটে বিদ্যুৎবাণী;আকাশে মেঘের তাড়াহুড়ো দিকে দিকেবজ্রের কানাকানি।সহসা ঘুমের তল্লাট ছেড়েশান্তি পালাল আজ।দিন ও রাত্রি

বাকি অংশ »

ইশতেহার

পৃথিবীতে মানুষ তখনও ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি ।ভুমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো ।তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান । অরন্য আর

বাকি অংশ »
Scroll to Top