জীবনমুখী কবিতা
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনীচলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবেআমার
কথা ছিলো সুবিনয়
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত,রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখেরাখালিয়া বাজাবে বিশদ।কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে
মানুষ — এই শব্দটি আমাকে বড় আলোড়িত করে
হ্যাঁ, এই শব্দটি আমাকে আলোড়িত করেআমি কোনো মানুষবিহীন অরণ্যে বাস করতে পারি না,কোনো নিঝুম ঘরেও, যদি মানুষ না থাকে, গা
মুক্তি
যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে
বড় ভয়ে গোপনে গোপনে বাঁচি
মানুষের চরিত্রই এমনবসলে বলবে না, বসো নাদাঁড়ালে, কি ব্যাপার হাঁটোআর হাঁটলে, ছি: বসো।শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,না শুলে
ভূমিহীন কৃষকের গান
দুই ইঞ্চি জায়গা হবে?বহুদিন চাষাবাদ করিনা সুখের। মাত্র ইঞ্চি দুই জমি চাইএর বেশী কখনো চাবো না,যুক্তিসঙ্গত এই জৈবনিক দাবি খুব
মানবানল
আগুন আর কতোটুকু পোড়ে ?সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত বিনাশ,মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালি সন্ত্রাস। আগুন পোড়ালে তবু কিছু
বেদনা বোনের মত
একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলামশুধু আমাকেই দেখা যায়,আলোর প্রতিফলন প্রতিসরণের নিয়ম না জানা আমিসেই থেকে আর কোনদিন আয়না দেখি না।
পরানের পাখি
পরানের পাখি তুমি একবার সেই কথা কও,আমার সূর্যের কথা, কাঙ্খিত দিনের কথা,সুশোভন স্বপ্নের কথাটা বলো,–শুনুক মানুষ। পরানের পাখি তুমি একবার
নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী
পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো বলেমনে পড়ে একদিন জীবনের সবুজ সকালেনদীর উলটো জলে সাঁতার দিয়েছিলাম। পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো
ফেরিওয়ালা
কষ্ট নেবে কষ্টহরেক রকম কষ্ট আছেকষ্ট নেবে কষ্ট ! লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্টপাথর চাপা সবুজ ঘাসের
সাত সাগরের মাঝি
কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হল জানি না তা ।নারঙ্গি বনে কাঁপছে সবুজ পাতা ।দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার