জীবনমুখী কবিতা
বাজার দর
বাড়ছে দামঅবিরামচালের ডালের তেলের নুনেরহাঁড়ির বাড়ির গাড়ির চুনেরআলু মাঙ্গা বালু মাঙ্গা,কাপড় কিনতে লাগে দাঙ্গা,উঠছে বাজার হু-হু করে সব কিছুর-আঁকের শাকের
মানুষ
আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় । আমি
জাগরণ
তারা বললেক গপপোটা আজকার লয় হেইটা বহুত পুরোনো গপপো,তেল চুকচুকা বাঁশে বাঁদর উঠে আর নামেযতবার চায় উঠতেততবার যায় পড়ে,কী করে
তেজ
‘মু জামবনির কুঁইরি পাড়ার শিবু কুঁইরির বিটি সাঁঝলি বটে।’ কাগজওয়ালারা বইললেক,“উঁ অতটুকু বইললে হবেক কেনে?তুমি এবারকার মাধ্যমিকে পত্থম হইছ।তোমাকে বইলতে
সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলাম
সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলামকিনে এনেছিলাম আকাশী রঙের বিলিতি হাওয়াই চিঠিসে চিঠির অক্ষরে অক্ষরে লেখা যেতকেন তোমাকে এখনো চিঠি লেখার
দিন আনি, দিন খাই
আমরা যারা দিন আনি, দিন খাই,আমরা যারা হাজার হাজার দিন খেয়ে ফেলেছি,বৃষ্টির দিন, মেঘলা দিন, কুয়াশা ঘেরা দিন,স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অধীর
দারিদ্র্য রেখা
আমি নিতান্ত গরীব ছিলাম, খুবই গরীব।আমার ক্ষুধার অন্ন ছিল না,আমার লজ্জা নিবারণের কাপড় ছিল না,আমার মাথার উপরে আচ্ছাদন ছিল না।অসীম
আমরা তো অল্পে খুশি
আমরা তো অল্পে খুশি,কী হবে দুঃখ করে?আমাদের দিন চলে যায়সাধারণ ভাতকাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদেরঅসুখে ধারদেনাতেরাত্তিরে দুভায়ে মিলেটান দিই গঞ্জিকাতে।
বোধ
আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরেস্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে !স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম
জীবন বিনিময়
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-পুত তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!চারিধারে তার শনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার। রাজ্যের
মানুষ
গাহি সাম্যের গান-মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে
হরিপদ’র দিনরাত্রি
তরল হীরের নদী,সোনারঙ নৌকো দোলে দূরে-স্বেচ্ছায় লাফিয়ে পড়ে ঝাঁক-ঝাঁক রুপালি ইলিশ…সহসা স্বপ্নের ঘোরে হেসে ওঠে হরিপদ জেলে:দেখে সে গঞ্জের হাটে