জীবনমুখী কবিতা
অমলকান্তি
অমলকান্তি আমার বন্ধু,ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো,পড়া পারত না,শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলেএমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো
অমানুষ
শিম্পাঞ্জি, তোমাকে আজ বড় বেশি বিমর্ষ দেখলুমচিড়িয়াখানায়। তুমি ঝিলের কিনারে।দারুণ দুঃখিতভাবে বসে ছিলে। তুমিএকবারও উঠলে না এসে লোহার দোলনায়;চাঁপাকলা, বাদাম,
উলঙ্গ রাজা
সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ, তবুওসবাই হাততালি দিচ্ছে।সবাই চেঁচিয়ে বলছে; শাবাশ, শাবাশ!কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়-কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের
তুমি গান গাইলে
তুমি গান গাইলে,লক্ষ লক্ষ কিলোয়াটের বাল্বের মতোজুঁই, চামেলি চন্দ্রমল্লিকা জ্বলে উঠলো না তুমি গান গাইলে,ব্যারাকে-ব্যারাকে বিউগল্ বেজে উঠলোসেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ থামলো
সুখ
“সুখ সুখ” বলে তুমি, কেন কর হা-হুতাশ,সুখ ত পাবে না কোথা, বৃথা সে সুখের আশ !পথিক মরুভূ মাঝে খুঁজিয়া বেড়ায়
সায়াহ্নে
হে পান্থ, কোথায় যাও কোন্ দূরদেশেকার আশে? সে কি তোমা করিছে আহ্বান?সম্মুখে তামসী নিশা রাক্ষসীর বেশেশোন না কি চারিদিকে মরণের
বেঁচে আছি স্বপ্নমানুষ
আমি হয়তো কোনোদিন কারো বুকে জাগাতে পারিনি ভালোবাসা, ঢালতে পারিনি কোনো বন্ধুত্বের শিকড়ে একটু জল- ফোটাতে পারিনি কারো একটিও আবেগের
এ ঘোর রজনী
এ ঘোর রজনী, মেঘের ঘটা,কেমনে আইল বাটে?আঙ্গিনার কোণে তিতিছে বঁধুয়া,দেখিয়া পরাণ ফাটে।সই, কি আর বলিব তোরে,বহু পুণ্যফলে সে-হেন বঁধুয়াআসিয়া মিলল
মানবিক প্রেমের কয়েকটি পদ
“ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপিয়া আছয়ে যে জন, কেহ না জানয়ে তারে।প্রেমের আরতি যে জন জানয়ে সেই সে চিনিতে পারে।।” “মরম না জানে,
মানুষ কে?
নিয়ত মানসধামে একরূপ ভাব।জগতের সুখ-দুখে সুখ দুখ লাভ।।পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ।সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের কোষ।।নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ।রাজ্যের কুশলকার্যে সদা
মানুষ
ছোটলোক ছোটজাত যারা মুখে আনেছোটলোক ছোটজাত তারা নিজেরাইমুখে না বলুক যারা মনে মনে ভাবেপরকে যা ভাবে তারা নিজেরাই তাই।ধরায় আসে