জীবনানন্দ দাশ
বাংলার মুখ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপখুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছেচেয়ে দেখি ছাতার মতো
তোমায় আমি
তোমায় আমি দেখেছিলাম বলেতুমি আমার পদ্মপাতা হলে;শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরেশুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরেখুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে। নদী
নির্জন স্বাক্ষর
তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে-আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে!যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে,পথের পাতার মতো তুমিও
আমাকে একটি কথা দাও
আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতোসহজ মহৎ বিশাল,গভীর; – সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তেমলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের
এই জল ভালো লাগে
এই জল ভালো লাগে; বৃষ্টির রূপালি জল কত দিন এসেধুয়েছে আমার দেহ — বুলায়ে দিয়েছে চুল — চোখের উপরেতার শান
তোমাকে
একদিন মনে হতো জলের মতন তুমি।সকালবেলার রোদে তোমার মুখের থেকে বিভা–অথবা দুপুরবেলা — বিকেলের আসন্ন আলোয়–চেয়ে আছে — চলে যায়
কুড়ি বছর পরে
আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা যদি হয়আবার বছর কুড়ি পরে-হয়তো ধানের ছড়ার পাশেকার্তিকের মাসে-তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে-
বুনো হাঁস
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে-জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহবানেবুনো হাঁস পাখা মেলে- শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার;এক-দুই-তিন
একদিন কুয়াশার এই মাঠে
একদিন কুয়াশার এই মাঠে আমারে পাবে না কেউ খুঁজে আর, জানি;হৃদয়ের পথ চলা শেষ হল সেই দিন -গিয়েছে যে শান
বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,সিংহল সমুদ্র থেকে আরো দূর অন্ধকারে মালয় সাগরেঅনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর