দেশের কবিতা
কপোতাক্ষ নদ
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে।সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনেশোনে মায়া- মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলেজুড়াই
আমরা তামাটে জাতি
রোদ্দুরে নিয়েছি আর বৃষ্টিতে বেড়েছিসহস্র শতাব্দী দিয়ে নিজেকে গড়েছিআমরা তামাটে জাতি, আমরা এসেছি। আগমনী স্মৃতি হয়ে লেগে আছে আঠালো জীবনআমাদের
সন্ধ্যা ও প্রভাত
এখানে নামল সন্ধ্যা। সূর্যদেব, কোন্ দেশে, কোন্ সমুদ্রপারে, তোমার প্রভাত হল।অন্ধকারে এখানে কেঁপে উঠছে রজনীগন্ধা, বাসরঘরের দ্বারের কাছে অবগুণ্ঠিতা নববধূর
জীবনানন্দ
ডুমুরের ফুললাউয়ের জাংলাবনলতা সেনরূপসী বাংলাফড়িঙের ডানাদোয়েলের শিসঝরা পাতাদেরকথা ফিসফিসফিরে ফিরে আসাধানসিড়ি নদীপঞ্চমী চাঁদেছায়া নিরবধিপাখির পালকেবিষাদ-ছন্দরৌদ্রের রঙপাতার গন্ধজীবনানন্দজীবনানন্দ…ধবল জোৎস্নাচন্দ্রের ঝাঁজরূপালি আলোরমৃদু-কারুকাজবিহবল-দুখীস্বর্ণালি
দুর্মর
হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশকেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে,সে কোলাহলে রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ।জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে। হঠাৎ
বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা
একবার বৃষ্টি হোক, অবিরাম বৃষ্টি হোক উষর জমিনে,নিরীহ রক্তের দাগ মুছে নিক জলের প্লাবন,মুছে নিক পরাজিত ব্যর্থ বাসনার গান, গ্লানির
মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল
পেছনে তাকালে কেন মূক হয়ে আসে ভাষা !মনে পড়ে সেই সব দুপুরের জলাভূমি,সেই সব বেতফল, বকুল কুড়ানো ভোর,আহা সেই রাঙাদির
যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন
আমার জন্য অপেক্ষা করো মধুপুর নেত্রকোনাঅপেক্ষা করো জয়দেবপুরের চৌরাস্তাআমি ফিরব। ফিরব ভিড়ে হট্টগোল, খরায় বন্যায়অপেক্ষা করো চৌচালা ঘর, উঠোন, লেবুতলা,গোল্লাছুটের
বাংলাদেশ থেকে
যে মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়েআমি পথ ভুল করেছিলামপ্রথম পরিচয়ে সে আমাকে বললতুমি কী আমাকে চেনো?বললাম, তোমার চোখ দুটো এতো সুন্দর!সে
বাংলাই আমাদের
আমরা বাংলার লোক,বাংলাই আমাদের, এদের ওদের সবার জীবন |আমাদের রক্তে ছন্দ এই নদি মাঠ ঘাটএই আমজাম বন,এই স্বচ্ছ রৌদ্রজলে অন্তরঙ্গ
জননী জন্মভূমি
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আমার মা-কে—কখনও মুখ ফুটে বলি নি।টিফিনের পয়সা বাঁচিয়েকখনও কখনও কিনে আনতাম কমলালেবু—শুয়ে শুয়ে মা-র চোখে জলে ভ’রে
আমার বাড়ি
আমার বাড়ি যাইও ভোমর,বসতে দেব পিঁড়ে,জলপান যে করতে দেবশালি ধানের চিঁড়ে। শালি ধানের চিঁড়ে দেব,বিন্নি ধানের খই,বাড়ির গাছের কবরী কলা,গামছা-বাঁধা