দেশের কবিতা
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি, নিথর বিশাল,মাটি ফুঁড়ে জেগে ওঠে গভীর রাত্তিরে!মুখে শতাব্দীর গাঢ় বিশদ শ্যাওলা আর ভীষণ ফাটল,যেন
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
সারারাত নূর হোসেনের চোখে এক ফোঁটা ঘুমওশিশিরের মতো জমেনি, বরং তার শিরায় শিরায়জ্বলেছে আতশবাজি সারারাত, কী একভীষণ বিস্ফোরণ সারারাত জাগিয়ে
প্রথম অতিথি
এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখনি তুমি,মূহুর্তে সবুজ ঘাস পুড়ে যায়,ত্রাসের আগুন লেগে লাল হয়ে জ্বলে উঠে চাঁদ।নরম নদীর চর হা-করা কবর
স্বদেশ
এই যে নদীনদীর জোয়ারনৌকা সারে সারে,একলা বসে আপন মনেবসে নদীর ধারেএই ছবিটি চেনা৷মনের মধ্যে যখন খুশিএই ছবিটি আঁকিএক পাশে তার
দেশের বাণী
কে আর বুঝিবে হায় এ দেশের বাণী?এ দেশের লোক যারা,সকলইতো গেছে মারা,আছে শুধু কতগুলি শৃগাল শকুনি!সে কথা ভাবিতে হায়এ প্রাণ
আমার পরিচয়
আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলিআমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।তেরশত নদী
আবার আসিব ফিরে
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে– এই বাংলায়হয়তো মানুষ নয়– হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের
সার্থক জনম আমার
সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে ॥জানি নে তোর ধনরতন আছে কি না রানীর মতন,শুধু
বঙ্গমাতা
পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানেমানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানেহে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়েচিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।দেশদেশান্তর-মাঝে যার
জন্মেছি এই দেশে
অনেক কথার গুঞ্জন শুনিঅনেক গানের সুরসবচেয়ে ভাল লাগে যে আমার‘মাগো’ ডাক সুমধুর। আমার দেশের মাঠের মাটিতেকৃষাণ দুপুরবেলাক্লান্তি নাশিতে কন্ঠে যে
বঙ্গভাষা
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;–তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণপরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।কাটাইনু বহু দিন সুখ
জন্মভূমি
জননী গো জন্মভূমি তোমারি পবনদিতেছে জীবন মোরে নিশ্বাসে নিশ্বাসে!সুন্দর শশাঙ্কমুখ, উজ্জ্বল তপন,হেরেছি প্রথমে আমি তোমারি আকাশে।ত্যাজিয়ে মায়ের কোল, তোমারি কোলেতেশিখিয়াছি