দেশের ছড়া/কবিতা
এক গাঁয়ে
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি।সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক।তাহার দুটি পালন-করা ভেড়াচরে
আমি কোনো আগন্তুক নই আহসান হাবীব
আসমানের তারা সাক্ষীসাক্ষী এই জমিনের ফুল, এইনিশিরাইত বাঁশবাগান বিস্তর জোনাকি সাক্ষীসাক্ষী এই জারুল জামরুল, সাক্ষীপুবের পুকুর, তার ঝাকড়া ডুমুরের ডালে
বাংলাদেশ
নমঃ নমঃ নমঃ বাঙলা দেশ মমচির-মনোরম চির-মধুর।বুকে নিরবধি বহে শত নদীচরণে জলধির বাজে নূপুর॥ শিয়রে গিরি-রাজ হিমালয় প্রহরীআশিস্-মেঘবারি সদা তাঁর
বাঙালি, একটি ফিনিক্সপাখি
আমরা বাহান্নতে মরেছি দলে দলে, আমরা একাত্তরে মরেছি ঝাঁকে ঝাঁকে, আমরা পঁচাত্তরে মরেছি সপরিবারে। প্রতিটি মৃত্যুর পর আমরা আবার জেগে উঠেছি, যেভাবে জেগে
যতদূর বাংলা ভাষা
যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর এই বাংলাদেশ।দরিয়ানগরে জন্ম, পৃথিবীর সর্ব প্রান্ত আমার স্বদেশ।। এ বাংলার হাটে মাঠে, ধানীরং কিষাণীর বাটে,দিগন্তের মেঠোপথে,
আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব,আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক-বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা।ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরেযার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরোশো নদীর ধারা ;তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ
অ-কেজের গান
ঐ ঘাসের ফুলে মটরশুটির ক্ষেতেআমার এ-মন-মৌমাছি ভাই উঠেছে আজ মেতে।।এই রোদ-সোহাগী পউষ-প্রাতেঅথির প্রজাপতির সাথেবেড়াই কুঁড়ির পাতে পাতেপুষ্পল মৌ খেতে।আমি আমন
তালগাছ
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়েসব গাছ ছাড়িয়েউঁকি মারে আকাশে।মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়একেবারে উড়ে যায়;কোথা পাবে পাখা সে?তাই তো সে
ইচ্ছামতী
যখন যেমন মনে করিতাই হতে পাই যদিআমি তবে একখানি হইইচ্ছামতী নদী।রৈবে আমার দখিন ধারেসূর্য ওঠার পার,বাঁয়ের ধারে সন্ধ্যেবেলায়নামবে অন্ধকার।আমি কইব
আমাদের ছোটো নদী
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকেবৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে,পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,দুই ধার উঁচু তার,
জননী জন্মভূমি
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আমার মা-কে—কখনও মুখ ফুটে বলি নি।টিফিনের পয়সা বাঁচিয়েকখনও কখনও কিনে আনতাম কমলালেবু—শুয়ে শুয়ে মা-র চোখে জলে ভ’রে