এসো, ছিনিয়ে নি আমার স্বাধীনতা
কথা বলবার স্বাধীনতা,
অক্ষরের ডান পাশে অক্ষর বসিয়ে
শব্দগুলো তৈরী করবার স্বাধীনতা
জীবনের স্তোত্র রচনার স্বাধীনতা
অর্থবহ এবং যুক্তির
জ্যোতির্ময় উচ্চারণ করবার স্বাধীনতা।
ফুল কিংবা পাখি
কিংবা জাহাজের মতো দৃশ্যমান আর
স্পর্শগ্রাহ্য কিছু উক্তি করবার সেই স্বাধীনতা
এসো, আমরা সবল হাতে ছিনায়ে নি,
উচ্চারণ করি ‘স্বাধীনতা’।
না, কোন বন্দনা নয় বাণীর দেবীকে,
না, কোন গ্রহণ নয় দূরের নিকটে
না, কোন নিভৃত ধ্যান পড়ার টেবিলে
না, কোন নিঃসঙ্গ যুদ্ধ নিজের ভেতরে।
আমার অগ্রজ যত কবিকে এখন
আমার সপক্ষে যত যোদ্ধাকে এখন
আমার অস্থিতে যত বজ্রকে এখন
আমার ঘৃণায় যত বিষকে এখন
আমার হৃদয়ে যত প্রীতিকে এখন
আমার অস্তিত্বে যত ক্ষতকে এখন
এই ভরা অন্ধকারে মনে মনে ডাকি,
‘এসো কবি, এসো যোদ্ধা, এসো বজ্র, এসো
এসো বিষ, এসো প্রীতি, সেরে তোল ক্ষত,
মানুষকে কবি করো, এসো এসো এসো
কবিকে মানুষ করো, এসো আজ এসো।