নারী বিষয়ক কবিতা
মেয়েটা শিকল ভেঙে বেশ করেছে
আমি ভাবছি, যদি মেয়েরা মা নামের টিপ,স্ত্রী নামের শিকল, মেয়ে নামের হাতঘড়ি,বোন নামের চুড়ি-টুড়ি খুলেএকদিন দুম করে বলে ফেলে,‘আমরা কারো
একটি দুর্বোধ্য কবিতা
এবার লক্ষ্মীশ্রী মুছে গেছেলেগেছে কি তীব্র রূপটানএইবার পথে বেরোলেইসকলের চক্ষু টানটানবাড়ি ফিরে সেই এক সংসারসেই এক সাধারণ স্বামীআজ শান্ত, কাল
মৃণালের পত্র
সেই ছুটুবেলাতে আমাদেরপাহাড় কোলের জোড়েলদী পেরাতে যাইয়েএক আষাঢ় মাসের হড়কা বানেআমি আর আমার ভাইভাস্যে গেছলম বানের তোড়েভাইটি গেল ডুবে আমি
রুখে দাঁড়া
মেয়েটি বললে, আমি বিষ খাব স্যার,আমার আর ইচ্ছে করছে না বাঁচতে।আমি শুধালাম, কি হয়েছে তোমারসাতসকালে এসব কি বলছ তুমি।মেয়েটি বললে,
দ্রোহ কথা
দিনটা ছিল ঈদের দিনখুশির ঈদের খুশির দিনতখন আমার কিশোরীবেলাতখন আমি তেরো কি চোদ্দ,আমার ছোট কাকার মেয়েসে আমার থেকে অনেক বড়দিল্লিতে
সতী
“ও বাপুনও বাপুন রেআমি তোর মা রে বাপুনআমি তোর মাএকবার চল বাপতোর বাবার শেষ কাজ টুকুন করবি চল”কোনো সাড়া নেইকোনো
মংগলির কথা
এই কনটাকটর বাবু এক গেলাস জল হবেকপাথরখাদানে কাজ করছিলমবড় পিয়াস লাগেছে,আমার নাম মংগলি গো মংগলিআমাকে ইখানে সবাই চিনেওই যে তুমাদে
নারীমেধ
‘এক’ ‘মেয়েমানুষের মাংস এমনিতেই খেতে খুব স্বাদু,আর যদি দিশি মদে ভিজিয়ে ভিজিয়েহায় হায় ভাবাই যায় না…..তাছাড়া এখন খুব পড়েছে মরশুম,ছয়
ভালো মেয়ে খারাপ মেয়ে
ঠিক কাদেরকে ভালো মেয়ে বলেআমি এখনও বুঝতে পারি না।এই বাংলায় যেসব মেয়ের দাদা লম্পটসেইসব মেয়ের সহজে বিয়ে হয় না।মা-মাসীদের মতে,
ময়ূরপঙ্খী
মেয়ে হলে কি নাম রাখতে?কি নাম, কি নাম, কি নাম রাখতাম-ময়ূরপঙ্খী। কম করে উনিশজন কবি, লেখক, অধ্যাপক বলেছেন-“বুঝলে এক ছেলে
আমি কৃষ্ণকলি মাহাতো
আমি কৃষ্ণকলি মাহাতো এম.এ, পি.এইচ.ডি.আমার গা অমাবস্যাআমার চুল মেষ পালকের ফাল্গুনআমার পিঠ সাঁওতাল পরগনাআমার দুটো থাই –একটা বাঁকুড়া, একটা পুরুলিয়া।
গঙ্গাকে আমিও মা বলি
আমি সেই রুকসানা ,গঙ্গাকে আমিও মা বলি।প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো মৃতদেহ,কোন ব্যাগে আমার বাবা?সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত আমি বাবাকে খুঁজছি।ঘাট থেকে ঘাটে