নারী বিষয়ক কবিতা
রজনীগন্ধা কফিন
তোমাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি দামিনীসারা দেশ জুড়ে আমরা কেঁদেছি, সারা দেশ জুড়ে আমরা ফুঁসেছি।ভারত রাষ্ট্র বাঁচাতে পারেনি তোমাকে।জন জোয়ারের চাপে
শাড়ি
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটাঅষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটাএতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি। আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সব
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত,এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়েআমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে । আপনারা বলতে পারেন, আমি
মুক্তি
ডাক্তারে যা বলে বলুক নাকো,রাখো রাখো খুলে রাখো,শিয়রের ওই জানলা দুটো,–গায়ে লাগুক হাওয়া।ওষুধ? আমার ফুরিয়ে গেছে ওষুধ খাওয়া।তিতো কড়া কত
সাধারণ মেয়ে
আমি অন্তঃপুরের মেয়ে,চিনবে না আমাকে।তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু,“বাসি ফুলের মালা’।তোমার নায়িকা এলোকেশীর মরণ-দশা ধরেছিলপঁয়ত্রিশ বছর বয়সে।পঁচিশ বছর বয়সের
বাঁশিওআলা
“ওগো বাঁশিওআলা,বাজাও তোমার বাঁশি,শুনি আমার নূতন নাম”— এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,মনে আছে তো?আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।সৃষ্টিকর্তা পুরো সময়
ভালোবাসি ভালোবাসি
ধরো কাল তোমার পরীক্ষা, রাত জেগে পড়ারটেবিলে বসে আছ,ঘুম আসছে না তোমারহঠাৎ করে ভয়ার্ত কণ্ঠে উঠেআমি বললাম— ভালবাস?তুমি কি রাগ
হঠাৎ নীরার জন্য
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নেবহুক্ষণ দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর,
দেহতত্ত্ব
এতকাল চেনা এই আমার শরীরসময় সময় একে আমি নিজেই চিনি না।একটি কর্কশ হাতনানান কৌশল করে চন্দন চর্চ্চিত হাতখানি ছুঁলেআমার স্নায়ুর
দুঃখপোষা মেয়ে
কান্না রেখে একটুখানি বসদুঃখ-ঝোলা একেক করে খোল…দেখাও তোমার গোপন ক্ষতগুলোএ ক’দিনে গভীর কতো হল।ও মেয়ে, শুনছ !বাইরে খানিক মেলে দাও
তালাকনামা
যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি আর আমার থাকো নাতুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ। যে কোনও শরীরে গিয়েশকুনের মতো খুঁটে খুঁটে
চরিত্র
তুমি মেয়ে,তুমি খুব ভাল করে মনে রেখোতুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবেলোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবেলোকে তোমার