নির্মলেন্দু গুণ
টেলিফোনে প্রস্তাব
আমি জানি, আমাদের কথার ভিতরে এমন কিছুই নেই,অনর্থ করলেও যার সাহায্যে পরস্পরের প্রতি আমাদেরদুর্বলতা প্রমাণ করা সম্ভব। আমিও তো তোমার
উপেক্ষা
অনন্ত বিরহ চাই, ভালোবেসে কার্পণ্য শিখিনি৷তোমার উপেক্ষা পেলে অনায়াসে ভুলে যেতে পারিসমস্ত বোধের উত্স গ্রাস করা প্রেম; যদি চাওভুলে যাবো,
আবার যখনই দেখা হবে
আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেইবলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’।এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে,অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ থেমে যায়,আমি
পতিগৃহে পুরোনো প্রেমিক
পাঁজরে প্রবিষ্ট প্রেম জেগে ওঠে পরাজিত মুখে,পতিগৃহে যেরকম পুরোনো প্রেমিকস্বামী ও সংসারে মুখোমুখি ।প্রত্যাখ্যানে কষ্ট পাই,–ভাবি, মিথ্যে হোকসত্যে নাই পাওয়া
আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও
আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও,মাথার চুল মেঘের মতো উড়ুক ।আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও,স্বপ্নগুলো ছায়ার মতো ঘুরুক । আবার একটা
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ
নেকাব্বর জানে তাঁর সম্পত্তির হিসাব চাইতে আসবে নাকেউ কোনোদিন।এই জন্মে শুধু একবার চেয়েছিল একজন, ‘কী কইরাপালবা আমারে,তোমার কী আছে কিছু
পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু
একদি চাঁদ উঠবে না, সকাল দুপুরগুলোমৃতচিহ্নে স্থির হয়ে রবে;একদিন অন্ধকার সারা বেলা প্রিয় বন্ধু হবে,একদিন সারাদিন সূর্য উঠবে না। একদি
শুধু তোমার জন্য
কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়েগুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েওকতবার যে আমি সে কথা
স্ববিরোধী
আমি জন্মেছিলাম এক বিষণ্ন বর্ষায়,কিন্তু আমার প্রিয় ঋতু বসন্ত । আমি জন্মেছিলাম এক আষাঢ় সকালে,কিন্তু ভালোবাসি চৈত্রের বিকেল । আমি
আমরা যাবো না
এখনও দুধের দাঁত পড়েনি , এরই মধ্যেআইয়ুব খানের দাঁত দেখাচ্ছ ?ভাবছো এতেই চলে যাব ?না , চলে যাবার জন্য আমরা
প্রলেতারিয়েত
যতক্ষণ তুমি কৃষকের পাশে আছো,যতক্ষণ তুমি শ্রমিকের পাশে আছো,আমি আছি তোমার পাশেই।যতক্ষণ তুমি মানুষের শ্রমে শ্রদ্ধাশীলযতক্ষণ তুমি পাহাড়ী নদীর মতো
মানুষের হৃদয়ে ফুটেছি
গতকাল ছিল কালো-লালে মেশাএকটি অদ্ভুত টুনটুনি ।লাফাচ্ছিল ডাল থেকে ডালে,পাতার আড়ালে, ফুল থেকে ফুলে । তার সোনামুখী ঠোঁট, যেনকলমের ডগায়