সাত-আটটে সাতাশ’, আমি বলেছিলাম বলে
গুরুমশায় আমার ‘পরে উঠল রাগে জ্বলে।
মা গো, তুমি পাঁচ পয়সায় এবার রথের দিনে
সেই যে রঙিন পুতুলখানি আপনি দিলে কিনে
খাতার নিচে ছিল ঢাকা; দেখালে এক ছেলে,
গুরুমশায় রেগেমেগে ভেঙে দিলেন ফেলে।
বললেন, ‘তোর দিনরাত্তির কেবল যত খেলা।
একটুও তোর মন বসে না পড়াশুনার বেলা!’
মা গো, আমি জানাই কাকে ? ওঁর কি গুরু আছে?
আমি যদি নালিশ করি এক্খনি তাঁর কাছে?
কোনোরকম খেলার পুতুল নেই কি, মা, ওঁর ঘরে
সত্যি কি ওঁর একটুও মন নেই পুতুলের ‘পরে?
সকাল- সাঁজে তাদের নিয়ে করতে গিয়ে খেলা
কোনো পড়ায় করেন নি কি কোনোরকম হেলা?
ওঁর যদি সেই পুতুল নিয়ে ভাঙেন কেহ রাগে
বল দেখি, মা, ওঁর মনে তা কেমনতরো লাগে।
আমি
আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে । আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে পশ্চিমে । গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম