পূর্ণেন্দু পত্রী
তারপর
তারপর?তারপর শেষ হল চোদ্দ বছরের অজ্ঞাতবাস।সে আমাকে দেখে ডুকরে উঠল– তুমি এমন বিবর্ণ কেন?আমি তাকে দেখে চমকে উঠলাম– তুমি এমন
হে সময়, অশ্বারোহী হও
বিরক্ত নদীর মতো ভুরু কুঁচকে বসে আছে আমাদের কাল।যাচ্ছি যাব, যাচ্ছি যাব এই গড়িমসি করে চূড়ো ভাঙা চাকা ভাঙা রথযে
বুকের মধ্যে বাহান্নটা আলমারি
বুকের মধ্যে বাহান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি।আমার যা কিছু প্রিয় জিনিস, সব সেইখানে।সেই সব হাসি, যা আকাশময় সোনালী ডানার ওড়াওড়িসেই সব
সেই গল্পটা
আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।শোনো।পাহাড়টা, আগেই বলেছিভালোবেসেছিল মেঘকেআর মেঘ কী ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকেবানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরাসে তো
অনির্বচনীয়
নীল তারার আকাশে কত গান যে গায় পাখিকত যে পাখি সাগর-ছোঁয়া ডানায় রোদ ভরেএখানে আসে-আমার কাছে আমার উঠোনেইবধূর মতো কোমল
কথোপকথন – ১
-তোমার পৌঁছুতে এত দেরী হলো ?-পথে ভিড় ছিল ?-আমারও পৌঁছুতে একটু দেরী হলোসব পথই ফাটা ।-পথে এত ভিড় ছিল কেন
কথোপকথন -২
এতো দেরী করলে কেন? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি।– কি করবো বলুন ম্যাডাম? টিউশনি শেষ করে বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি।
কথোপকথন -৩
তোমার বন্ধু কে ? দীর্ঘশ্বাস ?আমার ও তাই ।আমার শূন্যতা গননাহীন ।তোমার ও তাই ?দুরের পথ দিয়ে ঋতুরা যায়ডাকলে দরোজায়
কথোপকথন -৪
– যে কোন একটা ফুলের নাম বল– দুঃখ ।– যে কোন একটা নদীর নাম বল– বেদনা ।– যে কোন একটা
কথোপকথন -১৩
-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছেতোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলাহাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?-একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয়সকাল সন্ধে
কথোপকথন -১৬
ওগো সুন্দরী !মনে আছে কাল তেসরা জুন ?সেকি! ভুলে গেছো?তুমি তো দেখছি সাংঘাতিক!ভুলে গেলে তিথি প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর?আজ্ঞে না এটা
কথোপকথন – ২৮
– আমার আগে আর কাউকে ভালোবাসনি তুমি?– কেন বাসব না? অনেক।কৃষ্ণকান্ডের উইলের ভ্রমরযোগাযোগের কুমুপুতুলনাচের ইতিকথার কুসুমঅপরাজিত –র – ইয়ার্কি করো