প্রকৃতি বিষয়ক ছড়া/কবিতা
দুই আমি
বৃষ্টি কোথায় নুকিয়ে বেড়ায়উড়ো মেঘের দল হয়ে,যেই দেখা দেয় আর-এক ধারায়শ্রাবণ-ধারার জল হয়ে।আমি ভাবি চুপটি করেমোর দশা হয় ঐ যদি!কেই
তালগাছ
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়েসব গাছ ছাড়িয়েউঁকি মারে আকাশে।মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়একেবারে উড়ে যায়;কোথা পাবে পাখা সে?তাই তো সে
ইচ্ছামতী
যখন যেমন মনে করিতাই হতে পাই যদিআমি তবে একখানি হইইচ্ছামতী নদী।রৈবে আমার দখিন ধারেসূর্য ওঠার পার,বাঁয়ের ধারে সন্ধ্যেবেলায়নামবে অন্ধকার।আমি কইব
কাজলা দিদি
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,মাগো আমার শোলক বলা কাজলা-দিদি কই?পুকুর ধারে লেবুর তলে,থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,ফুলের গন্ধে ঘুম আসে
বৃষ্টির ছড়া
বৃষ্টি এল কাশ বনেজাগল সাড়া ঘাস বনে,বকের সারি কোথা রেলুকিয়ে গেল বাঁশ বনে। নদীতে নাই খেয়া যে,ডাকল দূরে দেয়া যে,কোন
আমাদের ছোটো নদী
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকেবৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে,পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,দুই ধার উঁচু তার,
ঝিঙে ফুল
ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল।সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল –ঝিঙে ফুল।গুল্মে পর্ণেলতিকার কর্ণেঢলঢল স্বর্ণেঝলমল দোলো দুল –ঝিঙে ফুল॥পাতার দেশের পাখি বাঁধা
প্রার্থী
হে সূর্য! শীতের সূর্য!হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়আমরা থাকি,যেমন প্রতীক্ষা ক’রে থাকে কৃষকদের চঞ্চল চোখ,ধানকাটার রেমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে। হে সূর্য,
কোন্ দেশে
কোন্ দেশেতে তরুলতাসকল দেশের চাইতে শ্যামল?কোন্ দেশেতে চলতে গেলেইদলতে হয় রে দুর্বা কোমল?কোথায় ফলে সোনার ফসল,সোনার কমল ফোটে রে?সে আমাদের
বাংলার মুখ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপখুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছেচেয়ে দেখি ছাতার মতো
অন্ধ মেয়ে
গভীর কালো মেঘের পরে রঙিন ধনু বাঁকা,রঙের তুলি বুলিয়ে মেঘে খিলান যেন আঁকা!সবুজ ঘাসে রোদের পাশে আলোর কেরামতিরঙিন্ বেশে রঙিন্
বসন্তে
উত্সব গান, মধুময় তানআকাশ ধরণী-তলেকুঞ্জে কুঞ্জে বিহগ কণ্ঠেলতায় পাতায় ফুলে |হৃদয়ে সবার দিয়েছে রে দোলনাচিয়া উঠিছে প্রাণ,(এ যে) নূতন দেশের