প্রকৃতি বিষয়ক কবিতা
বৃষ্টি বলুক
সমুদ্রে কেউ যাচ্ছে না আজ, সতর্ক রেডিওতুমি কেবল ঝড়ের মুখে চুল সরিয়ে দিও। জানলা খোলা, এ মরসুমে পর্দারা উদ্ধত-ঠান্ডা হাওয়ায়
যায়
আকাশ যখন গর্জায়আগল দেওয়া দরজায়,বিজলি যখন মোড়ল সাজেতিনটে মেঘের তরজায়, যখন হাওয়ার সর যায়,বাগান ছেড়ে জ্বর যায়বউ-কপালে সন্ধে নামেওষুধ দিতে
বৃষ্টি
খররৌদ্রময় এই দিন—শ্যামল বাংলায় বুঝি ফের নেমে আসে খরা!খরতাপে রুদ্ধশ্বাসক্ষুদ্র এই গ্রামীণ শহর,এ রকম এই দিনে চেতনায়ও খরার প্রদাহ—নির্বাচনে হেরে-যাওয়া
বর্ষাকাল
এখন বর্ষাকাল। দিনপ্রলম্বিত একটা বর্ষণআঁধারিম স্তব্ধ আর মূক অনিঃশেষ তা যাবতীয় দৃশ্য এবং উজ্জীবনযথার্থ এবং অনিবার্যএকটি দৃশ্য এবং একটি উজ্জীবনের
আনন্দ ভৈরবী
আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবিএমন ছিলনা আষাঢ় শেষের বেলাউদ্যানে ছিল বরষা-পীড়িত ফুলআনন্দ ভৈরবী। আজ সেই গোঠে আসেনা রাখাল ছেলেকাঁদেনা
ঈশ্বর হোক সবার
তিনি তো তোমাদের একার ঈশ্বর নন।তিনি হয়তো ডলফিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন-তিনি হয়তো সাগরের মোনাজাত কবুল করেছেন-তিনি হয়তো বনের প্রার্থনা মন
আমি মহাপৃথিবী বলছি
মানুষ, হে মানুষ!ভোগবিলাসী মানুষ; একবার চোখ বুজে ভেবে দেখতুমি রোজ কতটা খাও, যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে কত বেশি?তোমার সংগ্রহে রেখেছ
সন্ধ্যা ও প্রভাত
এখানে নামল সন্ধ্যা। সূর্যদেব, কোন্ দেশে, কোন্ সমুদ্রপারে, তোমার প্রভাত হল।অন্ধকারে এখানে কেঁপে উঠছে রজনীগন্ধা, বাসরঘরের দ্বারের কাছে অবগুণ্ঠিতা নববধূর
একটি দিন
মনে পড়ছে সেই দুপুরবেলাটি। ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টিধারা ক্লান্ত হয়ে আসে, আবার দমকা হাওয়া তাকে মাতিয়ে তোলে।ঘরে অন্ধকার, কাজে মন যায়
আমার একটা আকাশ আছে
কাশ ভর্তি অনেক আকাশ, আকাশ বেশুমারআমার একটা আকাশ আছে রঙ জানো কি তার?গাঢ় সবুজ আকাশ আমার অনিন্দ্যসুন্দরআমার কোনো ঘর-বাড়ি নেই
শরতের নীলাকাশ রবীন্দ্র-সরণি…
ঝকঝকে নীলাকাশ চকচকে শরতেধবধবে শাদা মেঘ পরতে ও পরতেপেঁজা পেঁজা মেঘগুলো ভেজা ভেজা নয়নেশরতের কবিতার পঙ্ক্তিটা চয়নে–সহসাই কী রকম কবি
পাহাড় চূড়ায়
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।যদি তার দেখা পেতাম,দামের জন্য আটকাতো না।আমার