প্রকৃতি বিষয়ক কবিতা
বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা
একবার বৃষ্টি হোক, অবিরাম বৃষ্টি হোক উষর জমিনে,নিরীহ রক্তের দাগ মুছে নিক জলের প্লাবন,মুছে নিক পরাজিত ব্যর্থ বাসনার গান, গ্লানির
মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল
পেছনে তাকালে কেন মূক হয়ে আসে ভাষা !মনে পড়ে সেই সব দুপুরের জলাভূমি,সেই সব বেতফল, বকুল কুড়ানো ভোর,আহা সেই রাঙাদির
বৃষ্টি সোনা তোকে
বৃষ্টি বৃষ্টিজলে জলে জোনাকিআমি সুখ যার মনেতার নাম জানো কী ? মেঘ মেঘ চুল তারঅভ্রের গয়নানদী পাতা জল চোখফুলসাজ আয়না।
আজ কিছু একটা হোক
আজ একটা দুরন্ত কিছু হোকবৃষ্টি হোক, ঝড় তছনছ করে দিকঅথবা সুখের মতো সে চোখে চোখ রাখুক। আজ একটা ভাঙচুর কিছু
পাখিদের মন
নির্জন প্রান্তরে ঘুরে হঠাত্ কখন,হয়তো পেতেও পারি পাখিদের মন।আর শুধু মাটি নয় শ্স্য নয়,নয় শুধু ভার,আর-এক বিদ্রোহী ধিক্কার–পৃথিবী-পরাস্ত-করা উজ্জল উত্
বসন্ত বন্দনা
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে,হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরেবনের কুসুমগুলি ঘিরে । আকাশে মেলিয়া আঁখিতবুও ফুটেছে জবা,–দূরন্ত
হায় চিল
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!তোমার কান্নার সুরে বেতের
অনেক আকাশ
গানের সুরের মতো বিকেলের দিকের বাতাসেপৃথিবীর পথ ছেড়ে – সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজেহৃদয় ভাসিয়া যায়,- সেখানে সে কারে ভালোবাসে !-পাখির
হঠাৎ হাওয়া
হঠাৎ হাওয়া উঠেছে এই দুপুরেআকাশী নীল শান্তি বুঝি ছিনিয়ে নিতে চায়।মালোঠিগাঁও বিমূঢ়, হতবাক।মেঘের ক্রোধ গর্জে ওঠে ঝড়ের ডঙ্কায়।এখনই এল ডাক।মন্দাকিনী
হলুদ আলোর কবিতা
দুয়ারে হলুদ পর্দা। পর্দার বাহিরে ধুধু মাঠআকাশে গৈরিক আলো জ্বলে।পৃথিবী কাঞ্চনপ্রভা রৌদ্রের অনলে শুদ্ধ হয়।কারা যেন সংসারের মায়াবী কপাটখুলে দিয়ে
বাংলার মুখ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপখুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছেচেয়ে দেখি ছাতার মতো
বসন্তে
উত্সব গান, মধুময় তানআকাশ ধরণী-তলেকুঞ্জে কুঞ্জে বিহগ কণ্ঠেলতায় পাতায় ফুলে |হৃদয়ে সবার দিয়েছে রে দোলনাচিয়া উঠিছে প্রাণ,(এ যে) নূতন দেশের