প্রকৃতি বিষয়ক কবিতা
আমাদের গ্রাম
আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘরথাকি সেথা সবে মিলে কেহ নাহি পর।পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাইএকসাথে খেলি আর পাঠশালে
প্রণয়
তোমার প্রসঙ্গ উঠে আসে, পুষ্প-ফোটা উদ্যানে উদ্যানেআমি তো আহত হই, বসন্তের সুমিষ্ট সুবাসে।আমি তো গিয়েছি ভুলে ওই মুখ, আজ আর
নীল প্রজাপতির দিন
আজ বসন্তে এসেছে এক নীল প্রজাপতি দিনএবং তাদের ডানায় ডানায় বিক্ষোভতাদের ডানায় অমিশ্রিত বর্ণযদি ত্বরায় না যায় সে, মেটাবে তাদের
আমার মৃত্যুর পরেও যদি
একটি পাখী রোজ আমার জানালায়আস্তে এসে বসে, তাকায় আশেপাশে।কখনো দেয় শিস, বাড়ায় গলা তার;আবার কখনোবা পাখাটা ঝাপটায়। পালকে তার আঁকা
পল্লী স্মৃতি
বহুদিন পরে আজি মনে পড়েপল্লী ময়ের কোল,ঝাউশাখে সেথা বনলতা বাঁধিহরষে খেয়েছি দোলকুলের কাটার আঘাত লইয়াকাঁচা পাকা কুল খেয়ে,অমৃতের স্বাদ যেন
হেমন্ত
সবুজ পাতার খামের ভেতরহলুদ গাঁদা চিঠি লেখেকোন্ পাথারের ওপার থেকেআনল ডেকে হেমন্তকে? আনল ডেকে মটরশুঁটি,খেসারি আর কলাই ফুলেআনল ডেকে কুয়াশাকেসাঁঝ
তোমাকে
একদিন মনে হতো জলের মতন তুমি।সকালবেলার রোদে তোমার মুখের থেকে বিভা–অথবা দুপুরবেলা — বিকেলের আসন্ন আলোয়–চেয়ে আছে — চলে যায়
কুড়ি বছর পরে
আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা যদি হয়আবার বছর কুড়ি পরে-হয়তো ধানের ছড়ার পাশেকার্তিকের মাসে-তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে-
বুনো হাঁস
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে-জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহবানেবুনো হাঁস পাখা মেলে- শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার;এক-দুই-তিন
একদিন কুয়াশার এই মাঠে
একদিন কুয়াশার এই মাঠে আমারে পাবে না কেউ খুঁজে আর, জানি;হৃদয়ের পথ চলা শেষ হল সেই দিন -গিয়েছে যে শান
নিমন্ত্রণ
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;মায়া মমতায় জড়াজড়ি করিমোর গেহখানি