প্রেমের কবিতা
হঠাৎ দেখা
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।আগে ওকে বারবার দেখেছিলালরঙের শাড়িতেদালিম ফুলের মতো রাঙা;আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,আঁচল তুলেছে
ভালোবাসি ভালোবাসি
ধরো কাল তোমার পরীক্ষা, রাত জেগে পড়ারটেবিলে বসে আছ,ঘুম আসছে না তোমারহঠাৎ করে ভয়ার্ত কণ্ঠে উঠেআমি বললাম— ভালবাস?তুমি কি রাগ
হঠাৎ নীরার জন্য
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নেবহুক্ষণ দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর,
দেখা
ভালো আছো?-দেখো মেঘ বৃষ্টি আসবে।ভালো আছো?-দেখো ঈশান কোনের আলো, শুনতে পাচ্ছো ঝড়?ভালো আছো?-এইমাত্র চমকে উঠলো ধপধপে বিদ্যুৎ ।ভালো আছো?-তুমি প্রকৃতিকে
সত্যবদ্ধ অভিমান
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখআমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ?শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায়তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত
জন্ম হয় না, মৃত্যু হয় না
আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় নামৃত্যু হয় না –কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়নাশরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম।আমার কেউ নাম রাখেনি, তিনটে-চারটে
তুমি যেখানেই যাও
তুমি যেখানেই যাওআমি সঙ্গে আছি।মন্দিরের পাশে তুমি শোনো নি নিঃশ্বাস?লঘু মরালীর মতো হাওয়া উড়ে যায়জ্যোৎস্না রাতে নক্ষত্রেরা স্থান বদলায়ভ্রমণকারিণী হয়ে
যদি নির্বাসন দাও
যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবোআমি বিষপান করে মরে যাবো ।বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশনদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘপ্রান্তরে দিগন্ত
অমলিন পরিচয়
সেই থেকে মনে আছে–কপালের ডান পাশে কালো জন্ম-জড়ুলচুলের গন্ধে নেমে আসা দেবদারু-রাতেকতোটা বিভোর হতে পারে উদাস আঙুল,সেই প্রথম অভিজ্ঞতা, সেই
হে আমার বিষন্ন সুন্দর
সারারাত স্বপ্ন দেখি, সারাদিন স্বপ্ন দেখিযে-রকম আকাশ পৃথিবী দ্যাখে, পৃথিবী আকাশ,একবার অন্ধকারে, একবার আলোর ছায়ায়একবার কুয়াশা-কাতর চোখে, একবার গোধুলির ক্লান্ত
ভালবাসার সময় তো নেই
ভালবাসার সময় তো নেইব্যস্ত ভীষণ কাজে,হাত রেখো না বুকের গাঢ় ভাঁজে। ঘামের জলে ভিজে সাবাড়করাল রৌদ্দুরে,কাছে পাই না, হৃদয়- রোদ
উল্টো ঘুড়ি
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা- দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখেস্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,কোন বেদনার