প্রেমের কবিতা
মানুষের মানচিত্র ৪
ভাসান যে দিতে চাও, কোন দেশে যাবা? যাবা সে কোন বন্দরে আমারে একলা থুয়ে? এই ঘর, যৈবনের কে দেবে পাহারা?এমন
মানুষের মানচিত্র ১
আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই,
দূরে আছো দূরে
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। যেভাবে
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে লেখা চিঠি
প্রিয় রুদ্র, প্রযত্নেঃ আকাশ, তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও?
এমন ভেঙ্গে চুরে ভালো কেউ বাসেনি আগে
কী হচ্ছে আমার এসব!যেন তুমি ছাড়া জগতে কোনও মানুষ নেই, কোনও কবি নেই, কোনও পুরুষ নেই, কোনওপ্রেমিক নেই, কোনও হৃদয়
যদি বাসোই
তুমি যদি ভালোই বাসো আমাকে, ভালোই যদি বাসো,তবে বলছো না কেন যে ভালো বাসো!কেন সব্বাইকে জানিয়ে দিচ্ছ না যে ভালোবাসো!আমার
প্রলাপ
একদিন সমুদ্রের কাছে গিয়ে একটা ঘর বাঁধবোমাঝে মধ্যে ইচ্ছে হয় পাহাড়ের কাছে। অমন একলা নির্বাসনের আকাশ চুয়ে শূন্যতার কুয়াশা নামলেঅথৈ
হাত
আবার আমি তোমার হাতে রাখবো বলে হাতগুছিয়ে নিয়ে জীবনখানি উজান ডিঙি বেয়েএসেছি সেই উঠোনটিতে গভীর করে রাতদেখছ না কি চাঁদের
হিসেব
কতটুকু ভালোবাসা দিলে,ক তোড়া গোলাপ দিলে,কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –সব যেদিন ভীষণ
প্রতিমা
প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।বেদনার করুণ কৈশোর থেকে তোমাকে সাজাবো বলেভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরামতুমি তার কিছু
তুমি ডাক দিলে
একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল,কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার। তুমি ডাক দিলেনষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছেশব্দের
অহংকার
বুকের সীমান্ত বন্ধ তুমিই করেছোখুলে রেখেছিলাম অর্গল,আমার যুগল চোখে ছিলো মানবিক খেলাতুমি শুধু দেখেছো অনল। তুমি এসেছিলে কাছে, দূরেও গিয়েছো