প্রেমের কবিতা
তুমিই মালিনী
তুমিই মালিনী, তুমিই তো ফুল জানি ।ফুল দিয়ে যাও হৃদয়ের দ্বারে, মালিনী,বাতাসে গন্ধ, উৎস কি ফুলদানি,নাকি সে তোমার হৃদয়সুরভি হাওয়া
নির্ভয়
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতেমুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে॥পঞ্চশরের বেদনামাধুরী দিয়েবাসরররাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে–ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না
কথোপকথন -১৩
-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছেতোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলাহাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?-একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয়সকাল সন্ধে
কথোপকথন -১৬
ওগো সুন্দরী !মনে আছে কাল তেসরা জুন ?সেকি! ভুলে গেছো?তুমি তো দেখছি সাংঘাতিক!ভুলে গেলে তিথি প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর?আজ্ঞে না এটা
কথোপকথন – ৩৫
-লোকে বলে শুনি সেলায়ে তোমার পাকা হাতছুঁচ দিয়ে লেখ কবিতা। -গোয়েন্দা নাকি আমার যা কিছু লুকানোজানতে হবে কি সবই তা?
কথোপকথন – ৩৮
-নন্দিনী! আমার খুব ভয় করে ,বড় ভয় করে!কোনও একদিন বুঝি জ্বর হবে ,দরজা দালান ভাঙ্গা জ্বরতুষার পাতের মত আগুনের ঢল
কথোপকথন – ৩৯
তোমাকে বাজাইসমুদ্র-শাঁখ তুমিগাছে ফুল আসেফুলেরা কিশোরী হয় ।ডালপালাগুলো সবুজ পাতার খামেচিঠি লিখে লিখেপ্রেম নিবেদন করে ।ফ্রক ছেড়ে শাড়ি পরেসমগ্র বনভূমি
সেই প্রজাপতি
ফুলের মতো দেয়ালটাতেএকটি প্রজাপতি,দুঃসাহসে বসলো এসেআলোর মুখোমুখি;চিত্রিত নয় কালো রঙেরপাখনা দু’টি মেলে ।এবার বুঝি এলে ? দেয়াল জুড়ে লাগল তারঘরে
যাত্রা-ভঙ্গ
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে,মন বাড়িয়ে ছুঁই,দুইকে আমি এক করি নাএক কে করি দুই৷ হেমের মাঝে শুই না যবে,প্রেমের মাঝে
এবারই প্রথম তুমি
ভুলে যাও তুমি পূর্বেও ছিলেমনে করো এই বিশ্ব নিখিলেএবারই প্রথম তুমি৷ এর আগে তুমি কোথাও ছিলে নাছিলে না আকাশে, নদী
দুজন
‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকেখুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবু-একই আলোপৃথিবীর পারেআমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা
আমি যদি হতাম
আমি যদি হতাম বনহংস,বনহংসী হতে যদি তুমি;কোনো এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদীর ধারেধানক্ষেতের কাছেছিপছিপে শরের ভিতরএক নিরালা নীড়ে; তাহলে আজ এই