প্রেমের কবিতা
আট বছর আগে একদিন
শোনা গেল লাশকাটা ঘরেনিয়ে গেছে তারে;কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারেযখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদমরিবার হল তার সাধ।বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও
তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা
ভয় নেইআমি এমনব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনীগোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়েমার্চপাস্ট করে চলে যাবেএবং স্যালুট করবেকেবল তোমাকে প্রিয়তমা।ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমাকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে- বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো
চিঠি দিও
করুণা করে হলে চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো
প্রেমের কবিতা
আমাদের সেই কথোপকথন, সেই বাক্যালাপগুলি টেপ করে রাখলে পৃথিবীর যে-কোনো গীতি কবিতার শ্রেষ্ঠ সঙ্কলন হতে পারতো; হয়তো আজ তার কিছুই
মিলন
জীবন-মরণের স্রোতের ধারাযেখানে এসে গেছে থামিসেখানে মিলেছিনু সময়হারাএকদা তুমি আর আমি।চলেছি আজ একা ভেসেকোথা যে কত দূর দেশে,তরণী দুলিতেছে ঝড়ে–এখন
শেষ বসন্ত
আজিকার দিন না ফুরাতেহবে মোর এ আশা পুরাতে–শুধু এবারের মতোবসন্তের ফুল যতযাব মোরা দুজনে কুড়াতে।তোমার কাননতলে ফাল্গুন আসিবে বারম্বার,তাহারি একটি
পূর্ণতা
১স্তব্ধরাতে একদিননিদ্রাহীনআবেগের আন্দোলনে তুমিবলেছিলে নতশিরেঅশ্রুনীরেধীরে মোর করতল চুমি–“তুমি দূরে যাও যদি,নিরবধিশূন্যতার সীমাশূন্য ভারেসমস্ত ভুবন মমমরুসমরুক্ষ হয়ে যাবে একেবারে।আকাশবিস্তীর্ণ ক্লান্তিসব শান্তিচিত্ত
প্রথম চুম্বন
স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি–বন্ধ করি দিল গান যত ছিল পাখি।শান্ত হয়ে গেল বায়ু, জলকলস্বরমুহূর্তে থামিয়া গেল, বনের
ধ্যান
নিত্য তোমায় চিত্ত ভরিয়াস্মরণ করি,বিশ্ববিহীন বিজনে বসিয়াবরণ করি;তুমি আছ মোর জীবন মরণহরণ করি।তোমার পাই নে কূল–আপনা-মাঝারে আপনার প্রেমতাহারো পাই নে
স্মৃতি
ওই দেহ-পানে চেয়ে পড়ে মোর মনেযেন কত শত পূর্বজনমের স্মৃতি।সহস্র হারানো সুখ আছে ও নয়নে,জন্ম-জন্মান্তের যেন বসন্তের গীতি।যেন গো আমারি
এক গাঁয়ে
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকিসেই আমাদের একটিমাত্র সুখ,তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক। তাহার দুটি পালন-করা