প্রেমের কবিতা
সেদিন
আমার একদিন সব হবে-খাঁ খাঁ রোগে তোমার মতন, অমন একটা ছাতা হবেবাদল দিনে বৃষ্টিভেজা, নীল মলাটের খাতা হবে।ভোরের বেলা পা
অন্ধকার
গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দেজেগে উঠলাম আবার ;তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়াগুটিয়ে নিয়েছে
দুজন
‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন – কতদিন আমিও তোমাকেখুঁজি নাকো; – এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পুথিবীর পারেআমরা
নগ্ন নির্জন হাত
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছেঅথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,সেই
শঙ্খমালা
কান্তারের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার আঁধারেসে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে,বলিল , তোমারে চাই :বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার
হাওয়ার রাত
গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল— অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;সারা-রাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনও মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো,কখনও
তোমাকে ভালবেসে
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বলএই জীবনের পদ্মপাতার জল;তবুও এ-জল কোথা থেকে এক নিমিষে এসেকোথায় চ’লে যায়;বুঝেছি আমি তোমাকে ভালোবেসেরাত ফুরোলে পদ্মের
সহজ
আমার এ গানকোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে–আজ রাত্রে আমার আহ্বান ভেসে যাবে পথের বাতাসে–তবুও হৃদয়ে গান আসে!ডাকিবার ভাষা তবুও ভুলি
যদি কেউ বলত
এই বর্ষায় হাতে কদম দিয়েযদি কেউ ভালোবাসি বলতকেউ যদি দেখে জ্বলে? তবে তার ইচ্ছে,সে জ্বলত। যদি হাওয়া আসত, উড়িয়ে দিত
যেতে পারবে?
এই যে তুমি বার বার চলে যাই বলোধরো তুমি চলে গেছোখানিকক্ষণ পর ফিরে এসে যদি দেখোকষ্টে ভিজে যাচ্ছে আমার বুকআমার
আর কার কাছে পাবো
এতোটুকু স্নেহ আর মমতার জন্য আমি কতোবারনিঃস্ব কাঙালের মতো সবুজ বৃক্ষের কাছে যাই-হে বৃক্ষ আমাকে তুমি এতোটুকু ভালোবাসা দাও,বনস্পতি আমাকে
তোমাকে ডাকার স্বাধীনতা
আজ এ-বৎসরের শেষ রবিবারেসমস্ত শহর করে তোলপাড়গ্রীসীয় যুবার মতো ভুঁড়ে দেবো শব্দের মাতাল নিনাদআমার প্রেমিকা, প্রিয়তমা নারীউদ্দেশে তোমার;তোমাকে ডাকবো আমি