প্রেমের কবিতা
কোজাগরী
তোমাকে বলেছিলামকোজাগরীর চাঁদ চোরাগোপ্তা মেঘেরকোঁচকানো ভুরু সহ্য করবে নাদেখলে, মিলে গেল! ঠিক পাঁচটায় কেমন ঝাঁটপাট দেওয়াতকতকে আকাশের উঠোনযেন উপবাসসুন্দর একটি
মোম আলোর বৃত্তে
এই, তোর সব আঙুলগুলো বাড়িয়ে দিবি?চিবুকের বিষন্নতা, দিবি?চোখের পাতায় যে নক্ষত্রজল মুক্তো হয়ে গেল!যে-কথা বলতে পারলি না, দিবি?চৈত্রের ঝরা পাতা
শিউলির গন্ধ!
প্রতিটি কমলা রঙের ভোরে,তোমার চোখের পাতায় তিনটি চুম্বন দিলে,বিশ্বাস করো,শিউলির গন্ধ পাই!ভোরের ওই আশ্চর্য সময়টুকুই তাই বেছে নিই,শুধু আশ্বিন নয়,
প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী
অতো বড় চোখ নিয়ে, অতো বড় খোঁপা নিয়েঅতো বড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়েযতো তুমি মেলে দাও কোমরের কোমল সারশযতো তুমি
তুমি ভালো আছো
হৃৎপিণ্ড থেকে দুটি দুঃখময় জাগরণচোখের গোলকে এনে দেখছি তোমাকে,তুমি ভালো আছো? বুকের বাঁ পাশ থেকে কারুকার্য্যময় একটি দীর্ঘনিশ্বাসআমি নিদ্রাহীন আত্মার
জ্যোৎস্নায় তুমি কথা বলছো না কেন।
প্রতিটি নতুন কথা বলাটাই হলো আমাদের প্রেম,প্রতিটি নতুন শব্দই হলো শিল্পকলার সীমাঃহে অসীমা তুমি কথা বলছো না কেন ?ওষ্ঠে কাঁপন
আকাঙ্খা
তুমি কি আমার আকাশ হবে?মেঘ হয়ে যাকে সাজাবআমার মনের মত করে । তুমি কি আমার নদী হবে?যার নিবিড় আলিঙ্গনে ধন্য
নিঃসঙ্গতা
অতটুকু চায়নি বালিকা!অত শোভা, অত স্বাধীনতা!চেয়েছিল আরো কিছু কম, আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়েবসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলমা বকুক, বাবা
ভালোবাসার কবিতা লিখবো না
‘তোমাকে ভালোবাসি তাই ভালোবাসার কবিতা লিখিনি।আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো কবিতা সফল হয়নি,আমার এক ফোঁটা হাহাকার থেকে এক লক্ষ কোটিভালোবাসার
রাত্রি
অতন্দ্রিলা,ঘুমোওনি জানিতাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়েবলি, শোনো,সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়—সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,আলাদা নিশ্বাসে—এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁইকী
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর শুনেছি তুমি খুব কষ্টে আছো।তোমার খবরের জন্য যে আমি খুব ব্যাকুল,তা নয়। তবে ঢাকা খুবই ছোট্ট
ইরাবতী আসে, ইরাবতী চলে যায়
ভালবাসা যদি বিপজ্জনক হয়অঘ্রাণ হবে রাত্রে হিরণ্ময়।হরিণ যখন হেমন্ত রাত পায়মানুষের পাপ কুয়াশায় ঢেকে যায় । চাঁদের ভেতর আমি নবান্ন