প্রেমের কবিতা
তুমি: বিশ বছর আগে ও পরে
তুমি যে-সব ভুল করতে সেগুলো খুবই মারাত্মক ছিল। তোমার কথায় ছিল গেঁয়ো টান, অনেকগুলো শব্দের করতে ভুল উচ্চারণ: ‘প্রমথ চৌধুরী’কে
তোমার কথা ভেবে
তোমার কথা ভেবে রক্তে ঢেউ ওঠে—তোমাকে সর্বদা ভাবতে ভালো লাগে,আমার পথজুড়ে তোমারই আনাগোনা—তোমাকে মনে এলে রক্তে আজও ওঠেতুমুল তোলপাড় হূদয়ে
শূন্যের ভিতরে ঢেঊ
বলিনি কখনো?আমি তো ভেবেছি বলা হয়ে গেছে কবে।এভাবে নিথর এসে দাঁড়ানো তোমার সামনেসেই এক বলাকেননা নীরব এই শরীরের চেয়ে আরো
সে
আমার কথা বোঝো না তুমি, তোমার কথা আমিপরস্পর তবুও বলি কথাহয়তো কবে বুঝবো ভেবে হাত জড়িয়ে রাখিএর কখনো ঘটে না
জন্মদিন
তোমার জন্মদিনে কী আর দেব এই কথাটুকু ছাড়াআবার আমাদের দেখা হবে কখনোদেখা হবে তুলসীতলায় দেখা হবে বাঁশের সাঁকোয়দেখা হবে সুপুরি
সঙ্গিনী
হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়এ কথা খুব সহজ, কিন্তু কে না জানেসহজ কথা
মোতাহার হোসেন কে লেখা কাজী নজরুলের চিঠি
১৫ জুলিয়াটোলা স্ট্রীট, কলিকাতা০৮-০৩-২৮সন্ধ্যা প্রিয় মতিহার,পরশু বিকালে এসেছি কোলকাতা । ওপরে ঠিকানাই আছে । ওর আগেই আসবার কথা ছিল ।
নার্গিসকে লেখা চিঠি
১ জুলাই ১৯৩৭ কল্যাণীয়াসু, তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নব বর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল।
বিদায় বেলায়
তুমি অমন ক’রে গো বারে বারে জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না,জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না।ঐ কাতর কন্ঠে থেকে থেকে শুধু বিদায়ের গান
আশা
হয়ত তোমার পাব’ দেখা,যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা।।ঐ সুদূরের গাঁয়ের মাঠে,আ’লের পথে বিজন ঘাটে;হয়ত এসে মুচকি হেসেধ’রবে
আপন পিয়াসী
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জনখুঁজি তারে আমি আপনার,আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনিআমারি তিয়াসী বাসনায়।।আমারই মনের তৃষিত আকাশেকাঁদে সে
সন্ধ্যা তারা
ঘোম্টা-পরা কাদের ঘরের বৌ তুমি ভাই সন্ধ্যাতারা?তোমার চোখে দৃষ্টি জাগে হারানো কোন্ মুখের পারা।।সাঁঝের প্রদীপ আঁচল ঝেঁপেবঁধুর পথে চাইতে বেঁকেচাউনিটি