প্রেমের কবিতা
ভালোবাসার সংজ্ঞা
ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি,পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা;ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া,বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতিখুব করে ঝুঁকে
বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালে
বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালেতোমার ধানের মুখে ধরে আছি আর্ত দুই ঠোঁটতুমি চোখ বন্ধ করো, আমিও দুচোখ ঢেকে
যখন বৃষ্টি নামলো
বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলোকূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বলসেই নিকটে—হয়তো ছিলো বৃষ্টি আসার আগেচলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, তাই কি
একবার তুমি
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করদেখবে, নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছেপাথর পাথর পাথর আর নদী সমুদ্রের জলনীল পাথর
ফিরে এসো মালবিকা
মালবিকা অইখানে যেওনাকো তুমি,কথা কয়োনাকো অই যুবকের সাথে,কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে ?মালবিকা জানো তুমি ঘাসে কি লবণ ?সামনে
অবনী বাড়ি আছো?
অবনী বাড়ি আছোদুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়াকেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া‘অবনী বাড়ি আছো?’ বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাসএখানে মেঘ গাভীর মতো চরেপরাঙ্মুখ
কুয়ার ধারে
তোমার কাছে চাই নি কিছু,জানাই নি মোর নাম–তুমি যখন বিদায় নিলেনীরব রহিলাম।একলা ছিলেম কুয়ার ধারেনিমের ছায়াতলে,কলস নিয়ে সবাই তখনপাড়ায় গেছে
দেওয়া-নেওয়া
বাদল দিনের প্রথম কদমফুলআমায় করেছ দান,আমি তো দিয়েছি ভরা শ্রাবণেরমেঘমল্লার গান।সজল ছায়ার অন্ধকারেঢাকিয়া তারেএনেছি সুরের শ্যামল খেতেরপ্রথম সোনার ধান।আজ এনে
বাঁশি
কিনু গোয়ালার গলি।দোতলা বাড়িরলোহার-গরাদে-দেওয়া একতলা ঘরপথের ধারেই।লোনা-ধরা দেওয়ালেতে মাঝে মাঝে ধসে গেছে বালি,মাঝে মাঝে স্যাঁতা-পড়া দাগ।মার্কিন থানের মার্কা একখানা ছবিসিদ্ধিদাতা
দুজনে দেখা হল
দুজনে দেখা হল মধুযামিনী রে–কেন কথা কহিল না, চলিয়া গেল ধীরে॥নিকুঞ্জে দখিনাবায় করিছে হায়-হায়,লতাপাতা দুলে দুলে ডাকিছে ফিরে ফিরে॥দুজনের আঁখিবারি
বাঁশিওআলা
“ওগো বাঁশিওআলা,বাজাও তোমার বাঁশি,শুনি আমার নূতন নাম”— এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,মনে আছে তো?আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।সৃষ্টিকর্তা পুরো সময়
একটি দিন
মনে পড়ছে সেই দুপুরবেলাটি। ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টিধারা ক্লান্ত হয়ে আসে, আবার দমকা হাওয়া তাকে মাতিয়ে তোলে।ঘরে অন্ধকার, কাজে মন যায়