বঙ্গবন্ধু বিষয়ক কবিতা
আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি
সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ গতকালআমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায়
বঙ্গ-বন্ধু
মুজিবর রহমান।ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বান।বঙ্গদেশের এ প্রান্ত হতে সকল প্রান্ত ছেয়ে,জ্বালায় জ্বলিছে মহা-কালানল ঝঞঝা-অশনি বেয়ে ।বিগত দিনের যত
বত্রিশ নাম্বার সড়কের বাড়ি
এই বাড়িটা জাতির পিতার, এই বাড়িটা সবারএই বাড়িটা মুজিব নামে পলাশ, রক্তজবারএই বাড়িটা অশ্রুলেখা শোকের আগস্ট মাসএই বাড়িটা পিতৃভূমির কান্না,
এই সিঁড়ি
এই সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে,সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-বত্রিশ নম্বর থেকেসবুজ শস্যের মাঠ বেয়েঅমল রক্তের ধারা ব’য়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে। মাঠময়
ধন্য সেই পুরুষ
ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসেসূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে
বঙ্গবন্ধু স্বরণে
নরহত্যা মহাপাপ, তার চেয়ে পাপ আরো বড়োকরে যদি যারা তাঁর পুত্রসম বিশ্বাসভাজনজাতির জনক যিনি অতর্কিত তাঁরেই নিধন। নিধন সবংশে হলে
আমি কি বলতে পেরেছিলাম
আমার টেবিলের সামনে দেয়ালে শেখ মুজিবের একটি ছবি টাঙানো আছেকোন তেলরঙ কিংবা বিখ্যাত স্কেচ জাতীয় কিছু নয়এই সাধারণ ছবিখানা ১৭ মার্চ-
বাঙালির পিতার নাম শেখ মুজিবর
বাংলাদেশের একটি গ্রামের নাম টুঙ্গিপাড়াএকটি নদীর নাম মধুমতী,একটি ফুলের নাম শেখ মুজিব; এই মুজিব আমার স্বাধীনতামুজিব আমার বাংলাদেশ,মুজিব আমার লাল
স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়েলক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছেভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান
বঙ্গবন্ধু
যতকাল রবে পদ্মা যমুনাগৌরী মেঘনা বহমানততকাল রবে কীর্তি তোমারশেখ মুজিবুর রহমান। চারিদিকে আজ রক্তগঙ্গাঅশ্রু গঙ্গা বহমাননেই নেই ভয় হবে হবে জয়জয় শেখ