তুমি আমার মনের কথা জেনে ফেলেছো ওই খানে তোমার জিৎ।
আমি তোমার মনের কথা জানতে পারলাম কই?
আপন অন্তরের অগাধ রহস্যের মধ্যে বসে আছো
অমবস্যার করপুটে দ্বিতীয়ার চন্দ্রকলাটির মতো,
ঠিক একটুকু আলো
যাতে দেখা না-দিয়ে ও দেখতে পারো অনায়াসে।
সত্যি তোমায় জানতে পারলাম কই?
যদি বলি তোমায় ভালোবাসি, তুমি হাসো।
যদি শুধাই আমায় ভালোবাসো? বলো- না
এত নিশ্চিত, এত অসংশয়।
মরুভূমির সূর্যোদয়ও বুঝি এত নিষ্কলুষ নয়।
যদি বলি কেন ভালোবাসো না?
অমনি বলো কেন’র উত্তর নেই।
এতদিনে ও ওই প্রশ্নটির উত্তর পেলাম না।
ছোট্ট একটি প্রশ্নের কী মহতী সম্ভাবনা।
কেবলি শুধাই কেন, কেন, কেন?
কেবলি উত্তর পাই, কেন’র আবার উত্তর কী?
ওই উত্তরহীন উত্তর দেবার সময়ে কখনো মুখ তুলে চাও নি।
হঠাৎ একদিন চোখে-চোখে গেল ঠেকে, প্রত্যাশিত উত্তর গেল বেঁধে,
শুধু বললে- তুমি না কবি? বললে কবিরা নাকি অন্তর্যামী।
না গো না, তবে আমি, ও বলি,
আমি কবি নই, শিল্পী নই, আমি অন্তর্যামী নই।
আমি মনের কথা মুখে শুনতে চাই
মনের কথাকে দেখতে চাই তোমার দুই চোখে প্রস্ফুটিত
মানস-সরোবরের অন্তর্ভেদী উদ্যত, উদগত, পূর্ণায়ত পদ্মটির মতো।
আমি মনের কথাকে দেখতে চাই তোমার সর্বাঙ্গে প্রতিফলিত,
তোমার বসনে ভূষণে, নয়নে অধরে,
তোমার সিঁথির সীমান্ত থেকে পায়ের নখাগ্র অবধি
সূর্য কিরণে কচি নারিকেল গুচ্ছ
যেমন চোখ ঝলসিয়ে দিতে থাকে তেমনি।
প্রসারিত পদ্মপত্রের মসৃণ নীলিমায়
সেই কথাটি টলোমলে করে উঠুক তোমার অন্তরের
শুক্তিনিঃসৃত একটি মাত্র মুক্তোর মতো বলো, বলো, বলো।
একটি সংলাপ
মেয়ে: তুমি কি চাও আমার ভালবাসা ?ছেলে: হ্যাঁ, চাই !মেয়ে: গায়ে কিন্তু তার কাদা মাখা !ছেলে: যেমন তেমনিভাবেই চাই ।মেয়ে: