মা-বাবাকে নিয়ে ছড়া/কবিতা
বীরপুরুষ
মনে করো যেন বিদেশ ঘুরেমাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়েদরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার
সংশয়ী
কোথায় যেতে ইচ্ছে করেশুধাস কি মা , তাই ?যেখান থেকে এসেছিলেমসেথায় যেতে চাই ।কিন্তু সে যে কোন্ জায়গাভাবি অনেকবার ।মনে
দুঃখহারী
মনে করো, তুমি থাকবে ঘরে,আমি যেন যাব দেশান্তরে।ঘাটে আমার বাঁধা আছে তরী,জিনিসপত্র নিয়েছি সব ভরি—ভালো করে দেখ্ তো মনে করিকী
প্রশ্ন
মা গো, আমায় ছুটি দিতে বল্,সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা।এখন আমি তোমার ঘরে বসেকরব শুধু পড়া-পড়া খেলা।তুমি বলছ দুপুর এখন
মধুর আমার মায়ের হাসি
মধুর আমার মায়ের হাসিচাঁদের মুখে ঝরেমাকে মনে পড়ে আমারমাকে মনে পড়ে ।। তার মায়ায় ভরা সজল বীথিসেকি কভু হারায়সে যে
মা-ও যেন কবিতা লেখেন
পাঁচপ্রদীপের শিখার ওপর হাত পাতায় নিয়ে সামান্য ওমটুকুতোদের মাথায় ছোঁয়াই খোকাখুকু কিন্তু কখন কেউ জানে না কবেএ হাতখানি পঞ্চপ্রদীপ হবে
একটি গ্রাম্য দৃশ্য
মাটির দাওয়ায় খুদে মাস্টার ক্লাস সিক্সের গুটুলিহাতে বেত নেই, তর্জনি তোলা, নাকের ডগায় চশমাখেলনা চশমা, চশমা ছাড়া কি মাস্টার সাজা
অন্য মা
আমার মা না হয়ে তুমিআর কারো মা হলেভাবছ তোমায় চিনতেম না,যেতেম না ঐ কোলে?মজা আরো হত ভারি,দুই জায়গায় থাকত বাড়ি,আমি
লুকোচুরি
আমি যদি দুষ্টুমি ক’রেচাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি,ভোরের বেলা মা গো, ডালের ’পরেকচি পাতায় করি লুটোপুটি,তবে তুমি আমার কাছে হারো,তখন
মাতৃবৎসল
মেঘের মধ্যে মা গো, যারা থাকেতারা আমায় ডাকে, আমায় ডাকে।বলে, ‘আমরা কেবল করি খেলা,সকাল থেকে দুপুর সন্ধেবেলা।সোনার খেলা খেলি আমরা
জননী জন্মভূমি
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আমার মা-কে—কখনও মুখ ফুটে বলি নি।টিফিনের পয়সা বাঁচিয়েকখনও কখনও কিনে আনতাম কমলালেবু—শুয়ে শুয়ে মা-র চোখে জলে ভ’রে
পল্লী জননী
রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।রুগ্ন ছেলের শিয়রে বিসয়া একেলা জাগিছে মাতা,করুণ চাহনি