বিদ্রোহী কবিতা
অভিযান
নতুন পথের যাত্রা-পথিকচালাও অভিযান !উচ্চ কণ্ঠে উচ্চার আজ“মানুষ মহীয়ান !”চারদিকে আজ ভীরুর মেলা ,খেলবি কে আর নতুন খেলা ?জোয়ার জলে
ইচ্ছে
কাচের চুড়ি ভাঙার মতন মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করেদুটো চারটে নিয়মকানুন ভেঙে ফেলিপায়ের তলায় আছড়ে ফেলি মাথার মুকুটযাদের পায়ের তলায় আছি,
অনুভব
। ১৯৪০।অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমিজন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।অবাক পৃথিবী! আমরা যে পরাধীনঅবাক, কী দ্রুত জমে ক্রোধ দিন দিন;অবাক পৃথিবী!
দুর্মর
হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশকেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে,সে কোলাহলে রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ।জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে। হঠাৎ
আমরা এসেছি
কারা যেন আজ দুহাতে খুলেছে, ভেঙেছে খিল,মিছিলে আমরা নিমগ্ন তাই, দোলে মিছিল।দু:খ-যুগের ধারায় ধারায়যারা আনে প্রাণ, যারা তা হারায়তারাই ভরিয়ে
জনতার মুখে ফোঁটে বিদ্যুতবানী
কত যুগ, কত বর্ষান্তের শেষেজনতার মুখে ফোটে বিদ্যুৎবাণী;আকাশে মেঘের তাড়াহুড়ো দিকে দিকেবজ্রের কানাকানি।সহসা ঘুমের তল্লাট ছেড়েশান্তি পালাল আজ।দিন ও রাত্রি
মুখোমুখি দাঁড়াবার দিন
মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়,শত্রু কে চিনে গেছে অমিত মানুষ,হৃদয় জেনেছে ঠিক কতোটা পচন—মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়। বুঝেছে জীবন তার কোথায়
মিছিল
যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই।যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি,আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র
ফাঁসির মঞ্চ থেকে
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আমাদের যাত্রার শুরু।এক একটি জন্মের সমান মেধাবী মৃত্যুএক একটি প্রতিজ্ঞা-পুষ্ট মৃত্যুর সোপানদুর্যোগ-অন্ধকারে তুলে রাখে সূর্যময় হাত—তুমুল তিমিরে
মুখোমুখি
আমরা কথা বলতে চাই,আমরা আমাদের ক্ষুধার কথা বলতে এসেছি;আমরা কথা বলবো । তোমরা সঙ্গিন উঁচিয়ে আছোতোমরা রাইফেল তাক কোরে রেখেছোতোমরা
সশস্ত্রবাহিনীর প্রতি
দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো- কোন পক্ষে যাবে? রাইফেল তাক কোরে আছো মানুষের দিকে ।সঙ্গিন উচিয়ে আছো ধূর্ত নেকড়ের মতো ।পায়ে
আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখতারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধিধর্মান্ধ পিশাচ