বিদ্রোহী কবিতা
অভিমানের খেয়া
এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই,পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাতপারিজাতহীন কঠিন পাথরে। প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে,নির্মম ক্লেদে মাথা
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও–এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া,
মশাল
কন্যা সন্তান প্রসব করার অপরাধেআসামের যে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ?আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী।যে কবি সেদিন তার নিরানব্বইতম কবিতাটিমেয়েটাকে উৎসর্গ
পাঞ্জেরি
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;অসীম কুয়াশা জাগে
মিলিত মৃত্যু
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।অন্তত আর যাই করো,
বিদ্রোহের গান
বেজে উঠল কি সময়ের ঘড়ি?এসো তবে আজ বিদ্রোহ করি,আমরা সবাই যে যার প্রহরীউঠুক ডাক। উঠুক তুফান মাটিতে পাহাড়েজ্বলুক আগুন গরিবের
আঠারো বছর বয়স
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহর্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,আঠারো বছর বয়সেই অহরহবিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। আঠারো বছর বয়সের নেই
বিক্ষোভ
দৃঢ় সত্যের দিতে হবে খাঁটি দাম,হে স্বদেশ, ফের সেই কথা জানলাম।জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপেধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি
কাণ্ডারী হুশিয়ার!
দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবারলঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার! দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভূলিতেছে মাঝি পথ,ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল,
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়মিছিলের সব হাতকন্ঠপা এক নয় ।
বারবার ফিরে আসে
বার বার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্টময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে,ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকাণ্ড চোয়ালে।হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে, ঘোরে