বেদনার কবিতা
ব্যস্ততা
তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম, যা কিছু নিজের ছিল দিয়েছিলাম,যা কিছুই অর্জন-উপার্জন !এখন দেখ না ভিখিরির মতো কেমন বসে থাকি !কেউ ফিরে
হিসেব
কতটুকু ভালোবাসা দিলে,ক তোড়া গোলাপ দিলে,কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –সব যেদিন ভীষণ
প্রতিমা
প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।বেদনার করুণ কৈশোর থেকে তোমাকে সাজাবো বলেভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরামতুমি তার কিছু
আমার সকল আয়োজন
আমার শৈশব বলে কিছু নেইআমার কৈশোর বলে কিছু নেই,আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার।দুঃখ তো আমার হাত–হাতের আঙুন–আঙুলের নখদুঃখের নিখুঁত চিত্র
অমিমাংসিত সন্ধি
তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো?পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখোহাত বাড়িয়ে হাত
প্রস্থান
এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটাখুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র
ইচ্ছে ছিলো
ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবোইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করেশান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতোসূর্যালোকে
মাছরাঙা, কৃষ্ণচূড়া আর মঞ্জুমালা
তোমাকে ভালোবাসবো ব’লে মাছরাঙা ধ’রেরেখেছিলাম খাঁচায়, আশায় একটি কৃষ্ণচূড়া পুঁতেছিলাম টবেচুম্বনো ভরাবো ঠোঁট — ডানায় কী ডালেশক্তপোক্ত ঋতুবাস হবেমঞ্জুমালা তুমি
কথা
তারপরও কথা থাকে;বৃষ্টি হয়ে গেলে পরভিজে ঠাণ্ডা বাতাসের মাটি-মাখা গন্ধের মতনআবছায়া মেঘ মেঘ কথা;কে জানে তা কথা কিংবাকেঁপে ওঠা রঙিন
সেই গল্পটা
আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।শোনো।পাহাড়টা, আগেই বলেছিভালোবেসেছিল মেঘকেআর মেঘ কী ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকেবানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরাসে তো
ওটা কিছু নয়
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।এইবার হাত দাও, টের
মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়
বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাবোবেণীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাবো?বেণীমাধব, মোহনবাঁশি তমাল তরুমূলেবাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী ইস্কুলেডেস্কে বসে অঙ্ক