বেদনার কবিতা
পঁচিশ বছর পরে
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে-বলিলামঃ ‘ একদিন এমন সময়আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়;পঁচিশ বছর পরে
আকাশলীনা
সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়োনাকো তুমি,বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;ফিরে এসো সুরঞ্জনা:নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;ফিরে এসো
মেলার মাঠে
হাতখানা যার শক্ত করেআঁকড়ে ধরে রেখেছিলাম,হঠাৎ কখন ছিটকে গিয়েএই মাঠে সে হারিয়ে গেছে! এখন তাকে খুঁজব কোথায়!কোত্থেকে যে কোন্খানে যায়নিরুদ্দিষ্ট
স্মৃতি
সে আসে আমার কাছে ঘুরে ঘুরে যেন একস্রোতস্বিনী নদীর সুবাস, ভালোবাসা সে যেন হৃদয়ে শুধুঘুরে ঘুরে কথা কয়, চোখের ভিতর
মন ভালো নেই
বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা সারাদিন ডাকি সাড়া নেই, একবার ফিরেও চায়
বিদায়
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও।তারি রথ নিত্যই উধাওজাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন,চক্রে-পিষ্ট আঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কালজড়ায়ে ধরিল
ভীরুতা
গভীর সুরে গভীর কথাশুনিয়ে দিতে তোরেসাহস নাহি পাই।মনে মনে হাসবি কিনাবুঝব কেমন করে?আপনি হেসে তাইশুনিয়ে দিয়ে যাই–ঠাট্টা করে ওড়াই সখী,নিজের
আমি কোথায় পাবো তারে
আমি কোথায় পাবো তারেআমার মনের মানুষ যে রেহারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশেদেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।লাগি সেই হৃদয়শশীসদা প্রাণ হয় উদাসীপেলে
কোনো একজনের জন্য
এতকাল ছিলাম একা আর ব্যথিত,আহত পশুর অনুভবে ছেঁড়াখোঁড়া।দুর্গন্ধ-ভরা গুহাহিত রাত নিস্ফল ক্রোধে দীর্ণ,শীর্ণ হাহাকার ছাড়া গান ছিল না মনে,জানি প্রাণে
প্রণয়ে ব্যথা
কেন যন্ত্রণার কথা, কেন নিরাশা ব্যথা,জড়িত রহিল ভবে ভালবাসা সাথে?কেন এত হাহাকার, এত ঝরে অশ্রু ধার?কেন কণ্টকের কূপ প্রণয়ের পথে?
তাহারেই পড়ে মনে
হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়,বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-দখিন দুয়ার গেছে