বেদনার কবিতা
অপরূপ বাগান
চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি।জল নেমে গেলে ডাঙ্গা
এখন আমার
আমার এখন নিজের কাছে নিজের ছায়া খারাপ লাগে…রাত্রিবেলা ট্রেনের বাঁশি শুনতে আমার খারাপ লাগেজামার বোতাম আটকাতে কি লাগে, কষ্ট লাগেতুমি
ঘুমোবার আগে
কাছে আগুন ছিলো নাআমি চাঁদের আগুনেশাদা সিগ্রেট জ্বালিয়ে বসেছিলাম কুয়াশায়!-কে ওখানে? শীতরাতে পৌষ-পাখির গলা শোনা গেলো জ্যোত্স্নায়,-কে ওখানে? পাখির কন্ঠের
জ্যোস্নায় তুমি কথা বলছো না কেন
প্রতিটি নতুন কথা বলাটাই হলো আমাদের প্রেম,প্রতিটি নতুন শব্দই হলো শিল্পকলার সীমাঃহে অসীমা তুমি কথা বলছো না কেন? ওষ্ঠে কাঁপন
এপিটাফ
যতদূরে থাকো ফের দেখা হবে। কেননা মানুষযদিও বিরহকামী, কিন্তু তার মিলনই মৌলিক।মিলে যায় – পৃথিবী আকাশ আলো একদিন মেলে! এ
বানভাসি
আমি বানভাসি লোক বঠি গনামটা হল মতি সদ্দারবাপকাকার আমল থাকে চৌকিদারি করিপঞ্চাশ সালের আকালের পরথাকে গেল বছর তকখরার চোটে দকড়কঁচা
সতী
“ও বাপুনও বাপুন রেআমি তোর মা রে বাপুনআমি তোর মাএকবার চল বাপতোর বাবার শেষ কাজ টুকুন করবি চল”কোনো সাড়া নেইকোনো
দুর্গা
ও বিল্টু তুই এখন কোথায় আছিস বাবাতুই এখন আছিস কোথায়,হাসপাতালে তোর বাপ বলেছিল “ছেলে তো অন্য ঘরে”সেই ঘরটা কোথায় রে,আমি
আদিত আমার মন ভালো নেই
তোমাদের শহরে শীত আসি আসি করছেচলছে শীত উৎসবের প্রস্তুতি,কিংবা আঁকছো সুখনিদ্রার স্বপ্নকথা।আজ আমার ভিষণ একা লাগছে, ভিষণ একাআমি ছুটি চাই
আবার বসব মুখোমুখি
আমাদের মাকে যেদিন আমরা ভাওয়ালের জঙ্গলেফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলাম,ডালে ডালে পাখিরা বেদনায় মূক হয়ে গিয়েছিল।অথচ আকাশ ভরে উঠছে আলোয় আলোয়পাখি
বিনিময়
তার বদলে পেলেসমস্ত ঐ স্তব্ধ পুকুরনীল-বাঁধানো স্বচ্ছ মুকুরআলোয় ভরা জলফুলে নোয়ানো ছায়া-ডালটাবেগনি মেঘের ওড়া পালটাভরলো হৃদয়তলএকলা বুকে সবই মেলে। তার
রাত্রি
অতন্দ্রিলা,ঘুমোওনি জানিতাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়েবলি, শোনো,সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়—সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,আলাদা নিশ্বাসে—এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁইকী