বেদনার কবিতা
গোলামের গর্ভধারিণী
আপনাকে দেখিনি আমি; তবে আপনি আমার অচেনানন পুরোপুরি, কারণ বাঙলার মায়েদের আমি মোটামুটি চিনি, জানি।হয়তো গরিব পিতার ঘরেবেড়ে উঠেছেন দুঃখিনী
সেই কবে থেকে
সেই কবে থেকে জ্বলছিজ্ব’লে জ্ব’লে নিভে গেছি ব’লেতুমি দেখতে পাও নি।সেই কবে থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছিদাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাতিস্তম্ভের মতো ভেঙে পড়েছি
আত্মহত্যার অস্ত্রাবলি
রয়েছে ধারালো ছোরা স্লিপিং টেবলেটকালো রিভলবারমধ্যরাতে ছাদভোরবেলাকার রেলগাড়িসারিসারি বৈদ্যুতিক তার। স্লিপিং টেবলেট খেয়ে অনায়াসে ম’রে যেতে পারিবক্ষে ঢোকানো যায় ঝকঝকে
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর শুনেছি তুমি খুব কষ্টে আছো।তোমার খবরের জন্য যে আমি খুব ব্যাকুল,তা নয়। তবে ঢাকা খুবই ছোট্ট
ফুলেরা জানতো যদি
ফুলেরা জানতো যদি আমার হৃদয়ক্ষতবিক্ষত কতোখানি,অঝোরে ঝরতো তাদের চোখের জলআমার কষ্ট আপন কষ্ট মানি । নাইটিংগেল আর শ্যামারা জানতো যদিআমার
ইরাবতী আসে, ইরাবতী চলে যায়
ভালবাসা যদি বিপজ্জনক হয়অঘ্রাণ হবে রাত্রে হিরণ্ময়।হরিণ যখন হেমন্ত রাত পায়মানুষের পাপ কুয়াশায় ঢেকে যায় । চাঁদের ভেতর আমি নবান্ন
রজনীগন্ধা কফিন
তোমাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি দামিনীসারা দেশ জুড়ে আমরা কেঁদেছি, সারা দেশ জুড়ে আমরা ফুঁসেছি।ভারত রাষ্ট্র বাঁচাতে পারেনি তোমাকে।জন জোয়ারের চাপে
শাড়ি
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটাঅষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটাএতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি। আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সব
ঘুষ
রবীন্দ্ররচনাবলীর নবম খন্ড দিয়ে চাপা দেওয়া সুইসাইড নোট,ছেলেকে লেখা । লিখে, হাতে ব্লেড নিয়েবাথরুমে ঢুকেছিলেন মাস্টারমশাইদুপুরবেলা কাজের লোক দরজার তলা
এক কন্সটেবলের চিঠি
থানার বড়বাবু আমায় বলতো পাঁঠাছোটবাবু পেছনে লাথি মেরে বলতো,যা তো, সিগারেট নিয়ে আয়যেদিন মাইনে পেতাম, আমার দাদা এসেসব টাকা কেড়ে
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত,এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়েআমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে । আপনারা বলতে পারেন, আমি
রূপম
রূপমকে একটা চাকরি দিন—এম. এ পাস, বাবা নেইআছে প্রেমিকা সে আর দু’-এক মাস দেখবে, তারপরনদীর এপার থেকে নদীর ওপারে গিয়ে