বেদনার কবিতা
নিরালা
বর্তমানে মুক্তকচ্ছ, ভবিষ্যৎ হোঁচটে ভরা,মাঝে মাঝে মনে হয়,দুর্মুখ পৃথিবীকে পিছনে রেখেতোমাকে নিয়ে কোথাও স’রে পড়ি |নদীর উপরে যেখানে নীল আকাশ
মুক্তি
হিংস্র পশুর মতো অন্ধকার এলো—তখন পশ্চিমের জ্বলন্ত আকাশ রক্তকরবীর মতো লালসে-অন্ধকার মাটিতে আনলো কেতকীর গন্ধ,রাতের অলস স্বপ্নএঁকে দিল কারো চোখে,সে-অন্ধকার
বিস্মৃতি
ভুলে যাওয়া গন্ধের মতোকখনো তোমাকে মনে পড়ে |হাওয়ার ঝলকে কখনো আসে কৃষ্ণচূড়ার উদ্ধত আভাস |আর মেঘের কঠিন রেখায়আকাশের দীর্ঘশ্বাস লাগে
নিঃশব্দতার ছন্দ
স্তব্ধরাত্রে কেন তুমি বাইরে যাও?আকাশে চাঁদ নেই, আকাশ অন্ধকার,বিশাল অন্ধকারে শুধু একটি তারা কাঁপে,হাওয়ায় কাঁপে শুধু একটি তারা। কেন তুমি
অনেক দিনের চেনা
দাড়িয়ে দুরে অনেকদিনের চেনা।আজকাল যার সঙ্গে থাকো, সে না।একলা তুমি কফিশপের ভেতরঝগড়া করে পালিয়ে এলে। সে তা।দাঁড়িয়ে আছে উল্টো ফুটপাতেআগের
ইলশে গুঁড়ি
মেঘের নিচে লাইন পাতা। ট্রেন চলে না।সকাল থেকেই দিচ্ছে হাওয়া ইচ্ছে বুড়িহাত বাড়িয়ে বর্ষাকালের মিছরি কেনা…মনখারাপের সাক্ষী কেবল ইলশেগুঁড়ি।জানলা খোলা,
একদিন
একদিন যেই আমি বাসে চেপে দূরে যাবকালো আকাশের নীচে বুঝি কোনও চা-দোকানেকথা হবে মানুষের। দু’জন থাকিবে চুপ।দেহাতি ধরণ। কে যাবে
সাবধানে যেও
শেষ দেখা পানপাত্র হাতে।বলেছিলে, ‘সাবধানে যেও’।শীত ছিল। আলখাল্লা গান…তোমার তো সুরই পরিধেয়। শেষ আড্ডা সারিগান নিয়ে।তুমি কথা বলছিলে মাটির –তোমারই
নত হও, কুর্নিশ করো
হে কলম, উদ্ধত হ’য়ো না, নত হও, নত হতে শেখো,তোমার উদ্ধত আচরনে চেয়ে দ্যাখো, কী যে দু:খপেয়েছেন ভদ্রমহোদয়গণ, অতএব, নত
তুমি: বিশ বছর আগে ও পরে
তুমি যে-সব ভুল করতে সেগুলো খুবই মারাত্মক ছিল। তোমার কথায় ছিল গেঁয়ো টান, অনেকগুলো শব্দের করতে ভুল উচ্চারণ: ‘প্রমথ চৌধুরী’কে
কোনো এক নারীর জন্য
চৈত্রের এক মধ্যরাতেবুকের কপাট খুলে দু’বাহু বাড়িয়েআমি অপেক্ষা করছিলামকোনো এক নারীর জন্যে…কৃষিজমিতে দাঁড়িয়েযে রকম অপেক্ষা করে উন্মুখ কৃষকফসল-ফলানো বৃষ্টির জন্যে—আমি
যদি ভালোবাসা পাই
যদি ভালোবাসা পাইআবার শুধরে নেবো ভুলগুলি ;যদি ভালোবাসা পাইব্যাপক দীর্ঘপথে তুলে নেব ঝোলাঝুলি।যদি ভালবাসা পাইশীতের রাতের শেষে মখমল দিন পাব;যদি