বেদনার কবিতা
প্রতীক্ষা
এমন অনেক দিন গেছেআমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি,হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লেনিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে-কোনো বন্ধুর জন্যেকিংবা অন্য অনেকের জন্যেহয়তো
ছুটি
হয়তো এসেছিল। কিন্তু আমি দেখিনি।এখন কি সে অনেক দূরে চ’লে গেছে?যাব। যাব। যাব। সব তো ঠিক করাই আছে। এখন কেবল
সে
আমার কথা বোঝো না তুমি, তোমার কথা আমিপরস্পর তবুও বলি কথাহয়তো কবে বুঝবো ভেবে হাত জড়িয়ে রাখিএর কখনো ঘটে না
সে
সে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষের কোলে মাথা রেখে শোনাক কবির গান বারোমাস সন্ধ্যা নদীতীরচন্দনের মতো সুখে মগ্ন হোক তার মুখ দেখেফিরে
যখন বৃষ্টি নামলো
বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলোকূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বলসেই নিকটে—হয়তো ছিলো বৃষ্টি আসার আগেচলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, তাই কি
ফিরে এসো মালবিকা
মালবিকা অইখানে যেওনাকো তুমি,কথা কয়োনাকো অই যুবকের সাথে,কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে ?মালবিকা জানো তুমি ঘাসে কি লবণ ?সামনে
যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো?
ভাবছি, ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো।এতো কালো মেখেছি দু হাতেএতোকাল ধরে!কখনো তোমার ক’রে, তোমাকে ভাবিনি। এখন খাদের পাশে রাত্তিরে দাঁড়ালেচাঁদ ডাকে আয়
যদি পারো দুঃখ দাও
যদি পারো দুঃখ দাও, আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসিদাও দুঃখ, দুঃখ দাও – আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে
তোমাকেই মনে পড়ে
তোমাকেই মনে পড়ে আজ নীল হেমন্তের রাতেমাথার উপরচাঁদের অসংখ্য চালাঘরতুমি বলেছিলে—ঐ দেশএকদিন হবে নির্বিশেষতব রাজধানীসেদিনের কথা চাঁদ নিয়ে করে আজো
দুই বিঘা জমি
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।’কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী,
দেওয়া-নেওয়া
বাদল দিনের প্রথম কদমফুলআমায় করেছ দান,আমি তো দিয়েছি ভরা শ্রাবণেরমেঘমল্লার গান।সজল ছায়ার অন্ধকারেঢাকিয়া তারেএনেছি সুরের শ্যামল খেতেরপ্রথম সোনার ধান।আজ এনে
বাঁশি
কিনু গোয়ালার গলি।দোতলা বাড়িরলোহার-গরাদে-দেওয়া একতলা ঘরপথের ধারেই।লোনা-ধরা দেওয়ালেতে মাঝে মাঝে ধসে গেছে বালি,মাঝে মাঝে স্যাঁতা-পড়া দাগ।মার্কিন থানের মার্কা একখানা ছবিসিদ্ধিদাতা