বেদনার কবিতা
বাঁশিওআলা
“ওগো বাঁশিওআলা,বাজাও তোমার বাঁশি,শুনি আমার নূতন নাম”— এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,মনে আছে তো?আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।সৃষ্টিকর্তা পুরো সময়
শেষ চিঠি
মনে হচ্ছে শূন্য বাড়িটা অপ্রসন্ন,অপরাধ হয়েছে আমারতাই আছে মুখ ফিরিয়ে।ঘরে ঘরে বেড়াই ঘুরে,আমার জায়গা নেই–হাঁপিয়ে বেরিয়ে চলে আসি।এ বাড়ি ভাড়া
জীবন যাপন-২
আমরা কি পরস্পরকে অবিশ্বাস করছি !আমাদের ভালো-লাগাগুলো বিতর্কিত হয়ে উঠছে।আমাদের চোখ ক্রমশ উদাসিন হয়ে উঠছে।আমাদের স্পর্শগুলো অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে।আমার কি
অমলিন পরিচয়
সেই থেকে মনে আছে–কপালের ডান পাশে কালো জন্ম-জড়ুলচুলের গন্ধে নেমে আসা দেবদারু-রাতেকতোটা বিভোর হতে পারে উদাস আঙুল,সেই প্রথম অভিজ্ঞতা, সেই
খুব কাছে এসো না
খুব কাছে এসো না কোন দিনযতটা কাছে এলে কাছে আসা বলে লোকেএ চোখ থেকে ঐ চোখের কাছে থাকাএক পা বাড়ানো
উল্টো ঘুড়ি
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা- দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখেস্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,কোন বেদনার
মানুষের মানচিত্র ৪
ভাসান যে দিতে চাও, কোন দেশে যাবা? যাবা সে কোন বন্দরে আমারে একলা থুয়ে? এই ঘর, যৈবনের কে দেবে পাহারা?এমন
মানুষের মানচিত্র ১
আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই,
দূরে আছো দূরে
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। যেভাবে
এক অপ্রেমিকের জন্য
এই শহরেই তুমি বাস করবে, কাজে অকাজে দৌড়োবে এদিক ওদিককোথাও আড্ডা দেবে অবসরে, মদ খাবে, তুমুল হৈ চৈ করবে,রাত ঘুমিয়ে
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে লেখা চিঠি
প্রিয় রুদ্র, প্রযত্নেঃ আকাশ, তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও?
টোপ
যেরকম ছিলে, সেরকমই তুমি আছকেবল আমাকে মাঝপথে ডুবিয়েছস্বপ্নের জলে উলটো ভাসান এতআমি ছাড়া আর ভাগ্যে জুটেছে কার! আগাগোড়া তুমি অবিকল