মজার ছড়া/কবিতা
খুকুমণির বিয়ে
আয়রে আয় টিয়ে,খুকুমণির বিয়ে।সোনার মাদুর পেতেলংকা দেব খেতে।আয়রে টিয়ে ছুটে,ছোলা খাবি খুঁটেটুকটুকে ঠোঁট দিয়ে।লাল জুতুয়া প’রেবর আসবে ঘরে।হেই টিয়ে তুই
কিম্ভূত !
বিদ্ঘুটে জানোয়ার কিমাকার কিম্ভূত,সারাদিন ধ’রে তার শুনি শুধু খুঁতখুঁত ৷মাঠপারে ঘাটপারে কেঁদে মরে খালি সে,ঘ্যান্ ঘ্যান্ আব্দারে ঘন ঘন নালিশে
ও বাবা
পড়তে বসে মুখের কাছে কাগজখানি থুয়েরমেশ ভায়া ঘুমোয় পড়ে আরাম ক’রে শুয়ে ।শুনছ নাকি ঘড়র ঘড়র নাক ডাকার ধূম ?সখ
একুশে আইন
শিব ঠাকুরের আপন দেশে,আইন কানুন সর্বনেশে !কেউ যদি যায় পিছ্লে প’ড়েপ্যায়দা এসে পাক্ড়ে ধরে,কাজির কাছে হয় বিচার—একুশ টাকা দণ্ড তার
আরশোলা
আরশোলা রে আরশোলাদেখে আমার দ্বার খোলাউড়ে এসে বসলি জুড়েচার দেয়ালে কাছে দূরে,বসলি এসে ঝাঁকে ঝাঁকেআলমারিতে বইয়ের তাকে।করলি ঘরের পাড় ঘোলা,আরশোলা
আমায় নিয়ে যা
নীলে ঘোড়া নীলে ঘোড়া পক্ষিরাজের ছা,মেঘড়ুমাড়ুম আকাশপারে তা থৈ তা থৈ তা।মেঘের দোলায় চললি কোথায়, কোন সে অচিন গাঁ?আয়-না নেমে
আতা গাছে, ডালিম গাছে
আতা গাছে চারটি পাখি,ডালিম গাছে তিন-সাতটি পাখি মনের সুখে নাচে তা’ধিন ধিন।সাতটি পাখি সাতটি সুরে গান গেয়ে যায় রোজ,আতা গাছে,
আঁটুল বাঁটুল ছড়া
আঁটুল বাঁটুল শামলা সাঁটুল,শামলা গেছে হাটে।কুঁচবরন কন্যা যিনি,তিনি ঘুমান খাটে। খাট নিয়েছে বোয়াল মাছে,কন্যে বসে কাঁদে,ঘটি বাটি সব নিয়েছে,কিসে তবে
বড়াই
গাছের গোড়ায় গর্ত করে ব্যাং বেঁধেছেন বাসা,মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা।রাজার হাতি হাওদা -পিঠে হেলে দুলে আসে-বাপরে ব’লে
নন্দগুপি
হঠাৎ কেন দুপুর রোদে চাদর দিয়ে মুড়ি,চোরের মত নন্দগোপাল চলছে গুড়ি গুড়ি?লুকিয়ে বুঝি মুখোশখানা রাখছে চুপি চুপি?আজকে রাতে অন্ধকারে টেরটা
গভরমেন্টের টাকা
আম উঠেছে, জাম উঠেছে, কাঁঠাল পাকা-পাকা,কিন্তু কিছুই কেনা যাচ্ছে না, পকেটে নেই টাকা।‘কোথায় পাবো টাকা? কোথায় গেছে টাকা?’ ধমক দিয়ে
ভেলকি
চন্ডীচরণ দাস ছিলপড়তে পড়তে হাসছিলহাসতে হাসতে হাঁস হলহায় কী সর্বনাশ হল।নন্দগোপাল কর ছিলডুব দিয়ে মাছ ধরছিলধরতে ধরতে মাছ হলহায় কী