মহাদেব সাহা
যতদিন বাঁচি
যতদিন বাঁচি দু চোখ খুলে যেন, তোমাকেই দেখতে পাইদৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে অন্ধ যেমনদেখতে চায় তার প্রিয় মুখআমিও তেমনি, চোখ খুলে
মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস
কেউ জানেনা একেকেটি মানুষ বুকের মধ্যে কী গভীর দীর্ঘশ্বাসনিয়ে বেড়ায়-কোনো বিষন্ন ক্যাসেটেও এতো বেদনার সংগ্রহ নেই আর,এই বুকের মধ্যে দীর্ঘশ্বাসের
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠিকতোবার দ্বারস্ত হয়েছি আমিগীতিকবিতার,কতোদিন মুখস্ত করেছি এই নদীর কল্লোলকান পেতে শুনেছি ঝর্ণার গান,বনে বনে ঘুরে আহরণ
আমার এতো বর্ষা
এই যে জীবন উজাড় করে বর্ষার মেঘের মতোতোমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছিতুমি কখনোই তার কিছু অনুভব করলে না; তুমি বুঝলে না এই
সেসব কিছুই আর মনে নেই
আমার কাছে কেউ কেউ জানতে চায় পৃথিবীর কোন নারীকেআমি প্রথম ভালোবাসিকেউ কেউ জানতে চায় কাকে আমি প্রথম চিঠি লিখি,কেউ বলে,
তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশী ভালোবেসে ফেলি
তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশিভালোবেসে ফেলিতোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আরোবেশি গভীরে জড়াই,যতোই তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই দূরেততোই তোমার হাতে বন্দি হয়ে
আর কোনোদিন হইনি এমন মর্মাহত
এর আগে আর কোনোদিন আমিহইনি এমন মর্মাহতযেদিন তোমার চোখে প্রথম দেখেছি আমি জল,অকস্মাৎ মনে হলো নিভে গেলো সব পৃথিবীর আলোগোলাপবাগান
একবার ভালোবেসে দেখো
তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো আরএই মুখে কবিতা ফুটবে না,এই কণ্ঠ আবৃতি করবে না কোনো প্রিয় পঙ্ক্তিমালাতাহলে শুকিয়ে যাবে সব
কাছে আসো, সম্মুখে দাঁড়াও
কাছে আসো, সম্মুখে দাঁড়াওখুব কাছে, যতোখানি কাছে আসা যায়,আমি আপাদমস্তক দেখি তোমার শরীরযেখাবে মানুষ দেখে, প্রথম মানুষ।দেখি এই কাণ্ড আর
কে চায় তোমাকে পেলে
বলো না তোমাকে পেলে কোন মূর্খ অর্থ-পদ চায়বলো কে চায় তোমাকে ফেলে স্বর্ণসিংহাসনজয়ের শিরোপা আর খ্যাতির সম্মান,কে চায় সোনার খনি
ইচ্ছা
হয়তো এই পাহাড় সমান উঁচু হতে চায় কেউআমি মাটিতে মেশা ঘাস হতে ভালোবাসি,যার মাড়িয়ে যাওয়ার সে মাড়িয়ে যাক ঘাসতবু ঘাসের
ছন্দরীতি
তোমাদের কথায় কথায় এতো ব্যকরণতোমাদের উঠতে বসতে এতো অভিধান,কিন্তু চঞ্চল ঝর্ণার কোনো ব্যাকরণ নেইআকাশের কোনো অভিধান নেই, সমুদ্রের নেই।ভালোবাসা ব্যাকরণ