মহাদেব সাহা
হে কিশোর,শোনো
একদিন শোনো, এই দেশটাতেদানবেরা দেয় হানাপুড়ে ছারখার মাঠের শস্যমানুষের আস্তানা।বয় নিরবধিরক্তের নদী,শকুনেরা মেলে ডানা,এই দেশটাতে একদিন শোনো,দানবেরা দেয় হানা।শোনো, একদিন
আমি কি বলতে পেরেছিলাম
আমার টেবিলের সামনে দেয়ালে শেখ মুজিবের একটি ছবি টাঙানো আছেকোন তেলরঙ কিংবা বিখ্যাত স্কেচ জাতীয় কিছু নয়এই সাধারণ ছবিখানা ১৭ মার্চ-
বাঙালির পিতার নাম শেখ মুজিবর
বাংলাদেশের একটি গ্রামের নাম টুঙ্গিপাড়াএকটি নদীর নাম মধুমতী,একটি ফুলের নাম শেখ মুজিব; এই মুজিব আমার স্বাধীনতামুজিব আমার বাংলাদেশ,মুজিব আমার লাল
আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি
আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি তখন তেরোশত নদীগেয়ে ওঠে আমার সোনার বাংলা,সহস্র পাখির কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনিত হতে থাকে;আমি যখন
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমাকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে- বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো
স্মৃতি
সে আসে আমার কাছে ঘুরে ঘুরে যেন একস্রোতস্বিনী নদীর সুবাস, ভালোবাসা সে যেন হৃদয়ে শুধুঘুরে ঘুরে কথা কয়, চোখের ভিতর
বেঁচে আছি স্বপ্নমানুষ
আমি হয়তো কোনোদিন কারো বুকে জাগাতে পারিনি ভালোবাসা, ঢালতে পারিনি কোনো বন্ধুত্বের শিকড়ে একটু জল- ফোটাতে পারিনি কারো একটিও আবেগের
চিঠি দিও
করুণা করে হলে চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো
প্রেমের কবিতা
আমাদের সেই কথোপকথন, সেই বাক্যালাপগুলি টেপ করে রাখলে পৃথিবীর যে-কোনো গীতি কবিতার শ্রেষ্ঠ সঙ্কলন হতে পারতো; হয়তো আজ তার কিছুই
মন ভালো নেই
বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা সারাদিন ডাকি সাড়া নেই, একবার ফিরেও চায়