মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কবিতা
এক গঞ্জের গল্প
আমাদের গঞ্জের ছিদাম পাইকের কথা বলিতাসের আড্ডা, সস্তা চা খানা, তামাকেরকালচে-নীল ধোঁয়ার মাঝে পরাণ কামারেরআটচালায় নানা স্মৃতি নিয়ে সেব্যস্ত থাকে
অস্ত্র সমর্পণ
মারণাস্ত্র মনে রেখো ভালোবাসা তোমার আমার।নয় মাস বন্ধু বলে জেনেছি তোমাকে, কেবল তোমাকে।বিরোধী নিধন শেষে কতোদিন অকারণেতাঁবুর ভেতরে ঢুকে দেখেছি
অহংকার
বুকের সীমান্ত বন্ধ তুমিই করেছোখুলে রেখেছিলাম অর্গল,আমার যুগল চোখে ছিলো মানবিক খেলাতুমি শুধু দেখেছো অনল। তুমি এসেছিলে কাছে, দূরেও গিয়েছো
একটি পতাকা পেলে
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলেআমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা । কথা ছিলো একটি পতাকা পেলেভজন গায়িকা সেই
অবাক সূর্যোদয়
কিশোর তোমার দুইহাতের তালুতে আকুল সূর্যোদয়রক্ত ভীষণ মুখমণ্ডলে চমকায় বরাভয়।বুকের অধীর ফিনকির ক্ষুরধারশহিদের খুন লেগেকিশোর তোমার দুই হাতে দুইসূর্য উঠেছে
তোমার আপন পতাকায়
এবার মোছাব মুখ তোমার আপন পতাকায়।হাজার বছরের বেদনা থেকে জন্ম নিলরক্তিম সূর্যের অধিকারী যে শ্যামকান্ত ফুলনিঃশঙ্ক হাওয়ায় আজ ওড়ে, দুঃখ
এখন সকল শব্দই
আমার নিশ্বাসের নাম স্বাধীনতা।আমার বিশ্বাসের নখর এখনক্রোধের দারুণ রঙে রাঙানোদুঃস্বপ্নের কোলবন্দি আমার ভালোবাসাএখন কেবলইএক অহরহ চিৎকার, হত্যা করো,হত্যা করো, হত্যা
হুলিয়া
আমি যখন বাড়িতে পৌঁছলুম তখন দুপুর,আমার চতুর্দিকে চিকচিক করছে রোদ,শোঁ শোঁ করছে হাওয়া।আমার শরীরের ছায়া ঘুরতে ঘুরতে ছায়াহীনএকটি রেখায় এসে
নিষিদ্ধ জর্নাল থেকে
ভোরের আলো এসে পড়েছে ধ্বংসস্তুপের উপররেস্তোরাঁ থেকে যে ছেলেটা রোজপ্রাতঃরাশ সাজিয়ে দিতো আমার টেবিলেতে-রাস্তার মোড়ে তাকে দেখলাম শুয়ে আছে রক্তাপ্লুত
তুমি বলেছিলে
দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার।পুড়ছে দোকান-পাট, কাঠ,লোহা-লক্কড়ের স্তূপ, মসজিদ এবং মন্দির।দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার। বিষম পুড়ছে চতুর্দিকে
এক সেকেন্ডে মাত্র চার ফুট
মানুষেরা নাকি এক সেকেন্ডে চার ফুট হাঁটতে পারে সাধারণত বারো কোটি মানুষ আমরাআমরা সবাই একসঙ্গে হাঁটলে মোট আটচল্লিশ কোটি ফুটঅর্থাৎ
বারবারা বিডলারকে
বারবারাভিয়েতনামের উপর তোমার অনুভূতির তরজমা আমি পড়েছি-তোমার হৃদয়ের সুবাতাসআমার গিলে-করা পাঞ্জাবিকে মিছিলে নামিয়েছিলপ্রাচ্যের নির্যাতিত মানুষগুলোরজন্যে অসীম দরদ ছিল সে লেখায়আমি