মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কবিতা
রিপোর্ট ১৯৭১
প্রাচ্যের গানের মতো শোকাহত, কম্পিত, চঞ্চলবেগবতী তটিনীর মতো স্নিগ্ধ, মনোরমআমাদের নারীদের কথা বলি, শোনো।এ-সব রহস্যময়ী রমণীরা পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনেবৃক্ষের আড়ালে
অভিশাপ দিচ্ছি
না,আমি আসিনিওল্ড টেস্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে,দুর্বাশাও নই,তবু আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতেঅভিশাপ দিচ্ছি। আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ দিয়েছিলো
বন্দী শিবির থেকে
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমিতোমাদের আজ বড় ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দরজামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও,কখনো সেজন্যে নয়। ভালো খাও
কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প
তার চোখ বাঁধা হলো।বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা রক্তে একাকার হলো,জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝ’রে
মুক্তির মন্দির সোপানতলে
মুক্তির মন্দির সোপানতলেকত প্রাণ হলো বলিদান,লেখা আছে অশ্রুজলেকত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙাবন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা, তারা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে,যত
স্বাধীনতা, উলঙ্গ কিশোর
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উল্ঙ্গ শিশুর মতোবেরিয়ে এসেছো পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও। তোমার পরমায়ু বৃদ্ধি পাক আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে,প্রাত্যহিক বাহুর
মুক্তিযুদ্ধের কবিতা
আজ রাত্রে বালিশ ফেলে দাও, মাথা রাখো পরস্পরের বাহুতে,শোনো দূরে সমুদ্রের স্বর, আর ঝাউবনে স্বপ্নের মতো নিস্বন,ঘুমিয়ে পোড়ো না, কথা
উচ্চারণগুলি শোকের
লক্ষ্মী বউটিকে আমি আজ আর কোথাও দেখি না,হাঁটি হাঁটি শিশুটিকে কোথাও দেখি না;কতগুলি রাজহাঁস দেখি,নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখিকতগুলি মুখস্থ
আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি
আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি তখন তেরোশত নদীগেয়ে ওঠে আমার সোনার বাংলা,সহস্র পাখির কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনিত হতে থাকে;আমি যখন
আমার পরিচয়
আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলিআমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।তেরশত নদী
স্বাধীনতা তুমি
স্বাধীনতা তুমিরবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।স্বাধীনতা তুমিকাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানোমহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা-স্বাধীনতা তুমিশহীদ মিনারে অমর একুশে
বারবার ফিরে আসে
বার বার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্টময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে,ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকাণ্ড চোয়ালে।হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে, ঘোরে