মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছড়া/কবিতা
নিষিদ্ধ জার্নাল থেকে
ভোরের আলো এসে পড়েছে ধ্বংসস্তূপের ওপর।রেস্তোরাঁ থেকে যে ছেলেটা রোজপ্রাতরাশ সাজিয়ে দিত আমার টেবিলেরাস্তার মোড়ে তাকে দেখলাম শুয়ে আছে রক্তাপুত
মাতৃভূমি, কী যেন তোমার নাম ছিলো?
পাঠ্যবই থেকে অপমানে ঝরে পড়েগৌরবের পঙক্তিমালা—৭ই মার্চ প্রশ্ন করে ২৬শে মার্চকেতুমি কি শুনতে পাওজনসমুদ্রে জোয়ারের ধ্বনি?বাংলার বধির পাহাড়ওলজ্জায় নত হয়,সাগরের
তোমার জন্য
তোমার জন্য জয় করেছি একটি যুদ্ধএকটি দেশের স্বাধীনতা,তোমার হাসি, তোমার মুখের শব্দগুলিসেই নিরালা দূর বিদেশে আমার ছিলো সঙ্গী এমন,অস্ত্র কিংবা
একাত্তর
আমাদের গ্রামগুলো আকাশের অবারিত মেঘআমাদের বাড়িগুলো পলাশের শিমুলের বাড়িআমরা নদীর বুকে কুপি জ্বেলে, গ্রহ-তারা জ্বেলেজেলে-নৌকা, ভাটিয়ালি, উজানের গান হতে পারি।আমরা
নুরলদীনের সারা জীবন ( প্রস্তাবনা)
নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা ঐ নীলে অগণিত আরনিচে গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় আছে ঊনসত্তর হাজার।ধবলদুধের মতো জ্যোৎস্না
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরেযার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরোশো নদীর ধারা ;তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ
আমার একটা নামও ছিলো…
এই যে তুমি বই লিখেছো ইতিহাসের,পাঁচশ পাতার।বই লিখেছো মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার,গল্প-গাঁথার।কোনো পাতায় নেই লেখা নামটা আমার সে বইটাতে,প্রাণ দিয়েছি পাকিস্তানি খান
মিছিল
যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই।যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি,আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র
এক গঞ্জের গল্প
আমাদের গঞ্জের ছিদাম পাইকের কথা বলিতাসের আড্ডা, সস্তা চা খানা, তামাকেরকালচে-নীল ধোঁয়ার মাঝে পরাণ কামারেরআটচালায় নানা স্মৃতি নিয়ে সেব্যস্ত থাকে
একটি পতাকা পেলে
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলেআমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা । কথা ছিলো একটি পতাকা পেলেভজন গায়িকা সেই
অবাক সূর্যোদয়
কিশোর তোমার দুইহাতের তালুতে আকুল সূর্যোদয়রক্ত ভীষণ মুখমণ্ডলে চমকায় বরাভয়।বুকের অধীর ফিনকির ক্ষুরধারশহিদের খুন লেগেকিশোর তোমার দুই হাতে দুইসূর্য উঠেছে
এই ছড়াটা নাম না জানা সেই শহিদের নামে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা শহিদ ছেলের দানকে লিখেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার গান?স্বাধীনতার গানগুলো লাল রক্তে হলো লেখারক্ত সাগর পেরিয়ে পেলাম স্বাধীনতার দেখা। আজ