যুগল কবিতা
তারপর
তারপর?তারপর শেষ হল চোদ্দ বছরের অজ্ঞাতবাস।সে আমাকে দেখে ডুকরে উঠল– তুমি এমন বিবর্ণ কেন?আমি তাকে দেখে চমকে উঠলাম– তুমি এমন
কাঁটা
তোমার পায়ে কাঁটা ফুটেছিল।টিটলাগড়ে আলপথে।তখন সন্ধ্যা ঝুঁকে পড়েছে।তুমি উ: বলতেই আমি বললাম, দাঁড়াও, নড়ো না।তোমার পায়ে আমি হাত দেবো, এ
বলো, বলো, বলো
তুমি আমার মনের কথা জেনে ফেলেছো ওই খানে তোমার জিৎ।আমি তোমার মনের কথা জানতে পারলাম কই?আপন অন্তরের অগাধ রহস্যের মধ্যে
যা চেয়েছি, যা পাবো
–কী চাও আমার কাছে?–কিছু তো চাইনি। আমি!–চাওনি তা ঠিক। তবু কেনএমন ঝড়ের মতো ডাক দাও?–জানি না। ওদিকে দ্যাখোরোদ্দুরে রুপোর মতো
জীবন-স্মৃতি
—তোমার ছিল স্বপ্ন দেখার অসুখ, তুমিআপন মনে কথা বলতে –তোমার ছিল বিষম দুঃখ,তুমি কখনোনদীর পারে একলা যাওনি —তোমার ছিল ছুরির
নির্ভয়
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতেমুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে॥পঞ্চশরের বেদনামাধুরী দিয়েবাসরররাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে–ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না
কথোপকথন – ১
-তোমার পৌঁছুতে এত দেরী হলো ?-পথে ভিড় ছিল ?-আমারও পৌঁছুতে একটু দেরী হলোসব পথই ফাটা ।-পথে এত ভিড় ছিল কেন
কথোপকথন -২
এতো দেরী করলে কেন? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি।– কি করবো বলুন ম্যাডাম? টিউশনি শেষ করে বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি।
কথোপকথন -৪
– যে কোন একটা ফুলের নাম বল– দুঃখ ।– যে কোন একটা নদীর নাম বল– বেদনা ।– যে কোন একটা
কথোপকথন -১৩
-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছেতোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলাহাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?-একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয়সকাল সন্ধে
কথোপকথন – ২৮
– আমার আগে আর কাউকে ভালোবাসনি তুমি?– কেন বাসব না? অনেক।কৃষ্ণকান্ডের উইলের ভ্রমরযোগাযোগের কুমুপুতুলনাচের ইতিকথার কুসুমঅপরাজিত –র – ইয়ার্কি করো
কথোপকথন – ২৯
– দূরে চলে যাও। তবু ছায়াআঁকা থাকে মেঘে। যেন ওড়েবাতাসের সাদা বারান্দায়বালুচরী বহু বর্ণময়।গান শেষ তবু তখনো তারপ্রতিধ্বনিরা দশ দিকে।যেন