যদিও-বা ক্লিওপেট্রা দেখা দিয়েছিল একবার,
উদ্ভাসিত ছিল তার সবই;
তবুও আঁকিনি আমি নাগলিঙ্গমের কোনো ছবি।
আমি তো বলেছি শুধু নাগেশ্বর কুসুমের কথা;
সাক্ষী আছে প্রতিবেশী পাতা-
সেখানে মেখেছি আমি আমার বুকের লাল ক্ষতি।
সেখানে সকাল হয় সেখানে গোধূলি নিভে যায়,
সেই আবার সকালবেলায় নাগেশ্বর কুসুমের ব্যথা।
এ রকম কষ্টের ভিতর
কবিতার মাঝখানে ভেসে উঠেছিল কেন ‘সঙ্গম-বিলাস’?
আমি তো পাহারা দিচ্ছি পঞ্চাশ বছর ধরে অহংকারী লাশ,
পঞ্চাশ বছর ধরে নতমুখে ডুবে আছি হাতের তালুতে;
হাতের রেখায় আমি কেন তবে গুনবো না
ক্ষীয়মাণ আয়ুর জ্যামিতি!
ভালোবাসা জমা ছিল বলে যেখানে দেখেছি অহংকার,
বিলিয়ে দিয়েছি শুধু, চাইনি কিছুই।
তবু এই গোধূলিবেলায় এটুকু মিনতি স্মরণীয়-
শরীর ফিরিয়ে দিও,
ভালোবাসা টোকা দিলে দরজা খুলে দিও।
কৃপণ
আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেমগ্রামের পথে পথে,তুমি তখন চলেছিলেতোমার স্বর্ণরথে।অপূর্ব এক স্বপ্ন-সমলাগতেছিল চক্ষে মম-কী বিচিত্র শোভা তোমার,কী বিচিত্র সাজ।আমি মনে ভাবেতেছিলেম,এ