রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খেলা-ভোলা

তুই কি ভাবিস, দিনরাত্তির খেলতে আমার মন?কক্ষনো তা সত্যি না, মা, আমার কথা শোন্‌।সেদিন ভোরে দেখি উঠে বৃষ্টিবাদল গেছে ছুটে,রোদ

বাকি অংশ »

দুয়োরানী

ইচ্ছে করে মা, যদি তুইহতিস দুয়োরানী!ছেড়ে দিতে এমনি কি ভয়তোমার এ ঘরখানি।ঐখানে ঐ পুকুরপারেজিয়ল গাছের বেড়ার ধারেও যেন ঘোর বনের

বাকি অংশ »

পুতুল ভাঙা

সাত-আটটে সাতাশ’, আমি বলেছিলাম বলেগুরুমশায় আমার ‘পরে উঠল রাগে জ্বলে।মা গো, তুমি পাঁচ পয়সায় এবার রথের দিনেসেই যে রঙিন পুতুলখানি

বাকি অংশ »

সময়হারা

যত ঘণ্টা, যত মিনিট, সময় আছে যতশেষ যদি হয় চিরকালের মতো,তখন স্কুলে নেই বা গেলেম; কেউ যদি কয় মন্দ,আমি বলব,

বাকি অংশ »

রবিবার

সোম মঙ্গল বুধ এরা সবআসে তাড়াতাড়ি,এদের ঘরে আছে বুঝিমস্ত হাওয়াগাড়ি?রবিবার সে কেন, মা গো,এমন দেরি করে?ধীরে ধীরে পৌঁছয় সেসকল বারের

বাকি অংশ »

তালগাছ

তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়েসব গাছ ছাড়িয়েউঁকি মারে আকাশে।মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়একেবারে উড়ে যায়;কোথা পাবে পাখা সে?তাই তো সে

বাকি অংশ »

পুরাতন ভৃত্য

ভূতের মতন চেহারা যেমন, নির্বোধ অতি ঘোর।যা-কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, “কেষ্টা বেটাই চোর।’উঠিতে বসিতে করি বাপান্ত, শুনেও শোনে না কানে।যত

বাকি অংশ »

ইচ্ছামতী

যখন যেমন মনে করিতাই হতে পাই যদিআমি তবে একখানি হইইচ্ছামতী নদী।রৈবে আমার দখিন ধারেসূর্য ওঠার পার,বাঁয়ের ধারে সন্ধ্যেবেলায়নামবে অন্ধকার।আমি কইব

বাকি অংশ »

সামান্য ক্ষতি

বহে মাঘমাসে শীতের বাতাস,স্বচ্ছসলিলা বরুণা।পুরী হতে দূরে গ্রামে নির্জনেশিলাময় ঘাট চম্পকবনে,স্নানে চলেছেন শতসখীসনেকাশীর মহিষী করুণা। সে পথ সে ঘাট আজি

বাকি অংশ »

পরিচয়

একদিন তরীখানা থেমেছিল এই ঘাটে লেগে,বসন্তের নূতন হাওয়ার বেগে।তোমরা শুধায়েছিলে মোরে ডাকিপরিচয় কোনো আছে নাকি,যাবে কোন্‌খানে।আমি শুধু বলেছি, কে জানে।নদীতে

বাকি অংশ »

মুক্তি

ডাক্তারে যা বলে বলুক নাকো,রাখো রাখো খুলে রাখো,শিয়রের ওই জানলা দুটো,–গায়ে লাগুক হাওয়া।ওষুধ? আমার ফুরিয়ে গেছে ওষুধ খাওয়া।তিতো কড়া কত

বাকি অংশ »

দেওয়া-নেওয়া

বাদল দিনের প্রথম কদমফুলআমায় করেছ দান,আমি তো দিয়েছি ভরা শ্রাবণেরমেঘমল্লার গান।সজল ছায়ার অন্ধকারেঢাকিয়া তারেএনেছি সুরের শ্যামল খেতেরপ্রথম সোনার ধান।আজ এনে

বাকি অংশ »
Scroll to Top