রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঁশিওআলা
“ওগো বাঁশিওআলা,বাজাও তোমার বাঁশি,শুনি আমার নূতন নাম”— এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,মনে আছে তো?আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।সৃষ্টিকর্তা পুরো সময়
একটি দিন
মনে পড়ছে সেই দুপুরবেলাটি। ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টিধারা ক্লান্ত হয়ে আসে, আবার দমকা হাওয়া তাকে মাতিয়ে তোলে।ঘরে অন্ধকার, কাজে মন যায়
হঠাৎ দেখা
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।আগে ওকে বারবার দেখেছিলালরঙের শাড়িতেদালিম ফুলের মতো রাঙা;আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,আঁচল তুলেছে
আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে
আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে;পাকে পাকে ফেরে ফেরেআমার জীবন দিয়ে জড়ায়েছি এরে;প্রভাত-সন্ধ্যারআলো-অন্ধকারমোর চেতনায় গেছে ভেসে;অবশেষেএক হয়ে গেছে আজ আমার
দুই পাখি
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতেবনের পাখি ছিল বনে।একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,কী ছিল বিধাতার মনে।বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি
১৪০০ সাল
আজি হতে শতবর্ষ পরেকে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানিকৌতূহলভরে,আজি হতে শতবর্ষ পরে!আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দেরলেশমাত্র ভাগ,আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের
শেষ চিঠি
মনে হচ্ছে শূন্য বাড়িটা অপ্রসন্ন,অপরাধ হয়েছে আমারতাই আছে মুখ ফিরিয়ে।ঘরে ঘরে বেড়াই ঘুরে,আমার জায়গা নেই–হাঁপিয়ে বেরিয়ে চলে আসি।এ বাড়ি ভাড়া
নির্ভয়
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতেমুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে॥পঞ্চশরের বেদনামাধুরী দিয়েবাসরররাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে–ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না
আমাদের ছোটো নদী
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকেবৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে,পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,দুই ধার উঁচু তার,
প্রশ্ন
মা গো, আমায় ছুটি দিতে বল্,সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা।এখন আমি তোমার ঘরে বসেকরব শুধু পড়া-পড়া খেলা।তুমি বলছ দুপুর এখন
অন্য মা
আমার মা না হয়ে তুমিআর কারো মা হলেভাবছ তোমায় চিনতেম না,যেতেম না ঐ কোলে?মজা আরো হত ভারি,দুই জায়গায় থাকত বাড়ি,আমি
লুকোচুরি
আমি যদি দুষ্টুমি ক’রেচাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি,ভোরের বেলা মা গো, ডালের ’পরেকচি পাতায় করি লুটোপুটি,তবে তুমি আমার কাছে হারো,তখন