রাজনৈতিক কবিতা
ফাঁসির মঞ্চ থেকে
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আমাদের যাত্রার শুরু।এক একটি জন্মের সমান মেধাবী মৃত্যুএক একটি প্রতিজ্ঞা-পুষ্ট মৃত্যুর সোপানদুর্যোগ-অন্ধকারে তুলে রাখে সূর্যময় হাত—তুমুল তিমিরে
মুখোমুখি
আমরা কথা বলতে চাই,আমরা আমাদের ক্ষুধার কথা বলতে এসেছি;আমরা কথা বলবো । তোমরা সঙ্গিন উঁচিয়ে আছোতোমরা রাইফেল তাক কোরে রেখেছোতোমরা
সশস্ত্রবাহিনীর প্রতি
দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো- কোন পক্ষে যাবে? রাইফেল তাক কোরে আছো মানুষের দিকে ।সঙ্গিন উচিয়ে আছো ধূর্ত নেকড়ের মতো ।পায়ে
প্রলেতারিয়েত
যতক্ষণ তুমি কৃষকের পাশে আছো,যতক্ষণ তুমি শ্রমিকের পাশে আছো,আমি আছি তোমার পাশেই।যতক্ষণ তুমি মানুষের শ্রমে শ্রদ্ধাশীলযতক্ষণ তুমি পাহাড়ী নদীর মতো
বাংলার গা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
১বাংলার গা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে,রক্তগড়িয়ে পড়ছে…কেউ ছুটে গেল খালের ওদিকেবুক ফাটা গলায় কার মা ডাকল : “রবি রে…”উত্তরের পরিবর্তে,
এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায়আমি তাকে ঘৃণা করি-যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছেআমি তাকে ঘৃণা করি-যে
সেই সব স্বপ্ন
কারাগারের ভিতরে পড়েছিল জোছনাবাইরে হাওয়া, বিষম হাওয়াসেই হাওয়ায় নশ্বরতার গন্ধতবু ফাঁসির আগে দীনেশ গুপ্ত চিঠি লিখেছিল তার বৌদিকে,“আমি অমর, আমাকে
ছাড়পত্র
যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রেতার মুখে খবর পেলুমঃসে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকারজন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে।খর্বদেহ
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়মিছিলের সব হাতকন্ঠপা এক নয় ।
ঘরোয়া রাজনীতি
ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন,আগামী মিছিলে এসোস্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন। আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো,ধ্রুপদী পিপাসা
শুনুন কমরেডস
সব সময় বিপ্লবের কথা না ব’লেযদি মাঝে মাঝে প্রেমের কথা বলি—আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস।সব সময় ইস্তেহার না লিখেযদি মাঝে মাঝে