রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখতারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধিধর্মান্ধ পিশাচ
খুব কাছে এসো না
খুব কাছে এসো না কোন দিনযতটা কাছে এলে কাছে আসা বলে লোকেএ চোখ থেকে ঐ চোখের কাছে থাকাএক পা বাড়ানো
দুঃস্বপ্নের দালানকোঠা
আমার এখন সমস্তটাই স্মৃতিসৌধ,হৃৎপিন্ডে পিন ফোটানোকালো ব্যাজের মৌন বিষাদ,একুশে ভোর, নগ্ন পায়ে শহীদ মিনার,আমার এখন সমস্তটুক্ এক মিনিটের নীরবতা। দু’চোখ
হে আমার বিষন্ন সুন্দর
সারারাত স্বপ্ন দেখি, সারাদিন স্বপ্ন দেখিযে-রকম আকাশ পৃথিবী দ্যাখে, পৃথিবী আকাশ,একবার অন্ধকারে, একবার আলোর ছায়ায়একবার কুয়াশা-কাতর চোখে, একবার গোধুলির ক্লান্ত
ভালবাসার সময় তো নেই
ভালবাসার সময় তো নেইব্যস্ত ভীষণ কাজে,হাত রেখো না বুকের গাঢ় ভাঁজে। ঘামের জলে ভিজে সাবাড়করাল রৌদ্দুরে,কাছে পাই না, হৃদয়- রোদ
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনীচলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবেআমার
এ কেমন ভ্রান্তি আমার
এ কেমন ভ্রান্তি আমার !এলে মনে হয় দূরে স’রে আছো, বহুদূরে,দূরত্বের পরিধি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আকাশ।এলে মনে হয় অন্যরকম জল
উল্টো ঘুড়ি
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা- দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখেস্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,কোন বেদনার
অবেলায় শঙ্খধ্বনি
অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই,কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই।এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেইকিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান।সাহস আমাকে প্ররোচনা
অভিমানের খেয়া
এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই,পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাতপারিজাতহীন কঠিন পাথরে। প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে,নির্মম ক্লেদে মাথা
মানুষের মানচিত্র ৪
ভাসান যে দিতে চাও, কোন দেশে যাবা? যাবা সে কোন বন্দরে আমারে একলা থুয়ে? এই ঘর, যৈবনের কে দেবে পাহারা?এমন
মানুষের মানচিত্র ১
আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই,